
বিসিবির দিকে তাকিয়ে আছে বাংলার ক্রিকেটভক্ত। ম্যাচের পর বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, জার্সি উন্মোচন এবং তামিম-সাকিব ইস্যুতে আসবে সব প্রশ্নের উত্তর। এদিকে বাংলাদেশ বাজেভাবে হেরে গেছে নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় সারির দলের কাছে। সেদিকো যেনো কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। তৃতীয় এবং শেষ ওয়াডেতে ৭ উইকেটে হেরে হোয়াইট ওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে অধিনায়ক শান্ত টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে অভিষেক হচ্ছে ব্যাটার জাকির হাসানের। একইসঙ্গে বিশ্রাম থেকে ফিরেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও পেসার শরীফুল ইসলাম।
খেলা শুরুর মিনিট পাঁচেক বাকি। ক্রিকেটাররা প্রস্তুত হচ্ছিলেন মাঠে নামার জন্য। তখনি শের-ই-বাংলায় নামে বৃষ্টি। দ্রুত পিচ ঢেকে রাখা হয় কাভারে। শুরুতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও ধীরে ধীরে তীব্রতা বাড়তে থাকে। তাও বেশি স্থায়ী হয়নি। ১০ মিনিটের মাথায় বন্ধ হয়ে যায় বৃষ্টি। ২টা ১০ মিনিটে কাভার সরিয়ে নেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের ১৮ মিনিট দেরিতে শুরু হয় খেলা।
অভিষেক ম্যাচে মাত্র ১ রান করেই ফিরে গেলেন জাকির হাসান। তানজিদ হাসান তামিমও বিদায় নিলেন খুব দ্রুত। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলটি মোকাবেলা করতে এসেই অফ স্ট্যাম্পের ওপর রাখেন বোল্ট। খোঁচা দিতে যান তামিম। বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে। ফিন অ্যালেন ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন।
৫ বলে ৫ রান করে আউট হয়ে গেলেন তানজিদ হাসান তামিম। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগে এভাবে আউট হওয়াটা তার জন্য নিশ্চয় ভালো কোনো বার্তা বয়ে আনবে না।
তাওহিদ হৃদয় এশিয়া কাপে একটি ম্যাচ ছাড়া প্রায় ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। আজও তিনি ব্যর্থ হলেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বলে ১৮ রান করে বিদায় নিলেন তিনি।
ফার্গুসনের ১৪২ কিলোমিটার গতির বল রুখে দিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু ঠিকঠাক হয়নি। বল ডিফেন্স করার পর যাচ্ছিলো উইকেটের দিকে। মুশফিক পা দিয়ে সরাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু স্পর্শ করতে পারেননি। বল আঘাত করে উইকেটে। এরপর মুশফিকের পাও লাগে উইকেটে। দুই ছক্কায় সম্ভাবনা দেখানো মুশফিক বোল্ড। তার আউটে ভাঙে শান্তর সঙ্গে গড়া ফিফটির জুটির। দুজনের জুটি থেকে ৫৯ বলে ৫৩ রান আসে।
শান্ত, মাহমুদউল্লাহ জুটি বেশ আশা জাগানিয়া ছিল। ইশ সোধির বলে পরপর দুটি চার মেরে খেলা জমিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্ত পরের ওভারেই এডাম মিলনের বলে কিপারের হাত ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ট্রেন্ট বোল্টের বলে একইভাবে কিপারের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে শেখ মাহেদী। এর ঠিক পরপরই ম্যাককঞ্চির বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন শান্ত। এরপর শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ এবং নাসুম আহমেদ শুধু এসেছেন আর গেছেন। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৭১ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে নিউজিল্যান্ডের দুই উদ্বোধনী ব্যাটার। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে এসে ফিন অ্যালেন এবং উইল ইয়ং এর ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন শরীফুল ইসলাম। পরের বলেই দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন ফক্সক্রফট।
এরপর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি নিউজিল্যান্ড দলকে। ইয়ং এবং নিকোলসের জুটিতে জয় পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে যায়। নাসুমের বলে ইয়ং ৭০ করে আউট হলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন নিকোলস।
প্লেয়ার অভ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন উইল ইয়ং এবং প্লেয়ার অভ দ্যা সিরিজের পুরস্কার হেনরি নিকোলসের হাতে উঠে।
বিবার্তা/পুলক/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]