বাংলাদেশের ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-আইসিসি। মূলত আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে গিয়ে দুর্নীতিবিরোধী তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নাসির।
২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি টি-১০ লিগে খেলতে গিয়েছিলেন টাইগার এই ক্রিকেটার। সেখানে সন্দেহভাজন ব্যক্তির কাছ থেকে উপহার নিয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছে এমেরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এ ছাড়া আইসিসির কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী একটি আমন্ত্রণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য দিতেও ব্যর্থ হয়েছেন নাসির। এ বিষয়ে আইসিসির করা তদন্তে সহায়তা না করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আইসিসি’র ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানান। আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) পক্ষ থেকে এ অভিযোগ গঠন করেছে তারা। নাসিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিবিরোধী কোডের তিনটি ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। নাসির ছাড়াও খেলোয়াড় ও অফিসিয়াল মিলিয়ে মোট আটজন অভিযুক্ত হয়েছেন।
নাসিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতিবিরোধী ২.৪.৩ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাকে (ডিএসিও) ৭৫০ ডলারের বেশি অর্থ মূল্যের উপহার নেওয়ার বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৪ ধারায় তদন্তের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে দুর্নীতি বা ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কোনো প্রস্তাব তিনি পেয়েছিলেন কি না, তাকে কোনোভাবে প্ররোচিত করা হয়েছিল কি না তা পরিষ্কার করে বিস্তারিত জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
২.৪.৬ ধারায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, তিনি সম্ভাব্য দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন এমন তদন্তের বিষয়ে দুর্নীতির তদন্তে থাকা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন বা তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আবুধাবি টি-টেন লিগে ২০২১ সালে পুনে ডেভিলসের নেতৃত্বে ছিলেন নাসির। যদিও গ্রুপ পর্বে ৬ ম্যাচে ২ জয়ে ৮ দলের মধ্যে সবার শেষে ছিল দলটির অবস্থান। ভালো করতে পারেননি নাসির নিজেও।
এই ঘটনায় নাসির ছাড়াও অভিযুক্তরা হলেন, দলটির সহকারী দুই মালিক ক্রিশান কুমার চৌধুরি, পরাগ সাংভি, ব্যাটিং কোচ আসহার জাইদি, স্থানীয় খেলোয়াড় রিজওয়ান জাভেদ, সহকারী কোচ সিলিয়া সামান ও দলের ম্যানেজার শাদাব আহমেদ।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]