শেয়ারবাজার অর্থনীতির অন্যতম একটি অংশ। বৈশ্বিক কারণে বশ্বিজুড়ে যখন বিভিন্ন দেশ অর্থনীতির চাপে পড়েছে তখন তার প্রভাব বাংলাদেশেও লেগেছে। যার ফলে শেয়ারবাজারে বড় পতন হতে থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ার দরের উপর ফ্লোর প্রাইস বেধে দিয়েছে।

ফ্লোর প্রাইস বেধে দেওয়ার কারণে শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানিরই শেয়ারদর ক্রমাগত ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে। যার কারণে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমতে না পারলেও ক্রেতা না থাকায় লেনদেন নেমেছে একেবারে তলানিতে। যার কারণে শেয়ারবাজারে লেনদেন দিন দিন কমতে থাকায় একের পর এক রেকর্ড হয়েই চলছে।

কিন্তু সেই রেকর্ড ভেঙে ক্রমাগত লেনদেন বাড়তে শুরু করেছে শেয়ারবাজারে। গেলো সপ্তাহে চার দিনই বেড়েছিল ডিএসইর লেনদেনের পরিমাণ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার লেনদেন কমলেও আজ রোববার ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ফলে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে শেয়ারবাজারে লেনদেন।

বিনিয়োগকারীরাও নিজেদের শেয়ার বিক্রি করেত শুরু করেছে। শেয়ার বিক্রি করে নতুন করে অন্য শেয়ারেও বিনিয়োগ করতে পারবে। যার ফলে কোম্পানিগুলো শেয়ার দর ফ্লোর প্রাইস অতিক্রম করতে পারবে। যা ক্রমাগত শেয়ারবাজারকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।

দেখে নিন আজকের শেয়ারবাজারের হালচাল: ডিএসইতে আজ ৬৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিন থেকে ১০২ কোটি ৭ লাখ টাকা বেশি। গতকাল ডিএসইতে ৫৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

এদিন ডিএসই প্রধান বা ডিএসইএক্স সূচক ৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৬ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৬০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৪ পয়েন্টে।

ডিএসইতে ৩৬৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৫৩টির, কমেছে ১২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৫টির। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)ও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক সিএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমেছে। এদিন সিএসইতে ৮ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

বিবার্তা/মাজহারুল