নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় অফুরন্ত সওয়াব
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৩১
নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় অফুরন্ত সওয়াব
ধর্ম ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে চর্চিত ও অন্তরে দোলা দেওয়া শব্দ। এটি একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোনো মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশই ভালোবাসা।


ভালোবাসা যদি নিঃস্বার্থ ও একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয়, তবে এর সওয়াব অফুরন্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করবেন, যারা আমার সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যকে ভালোবেসেছিল, তারা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার আরশের ছায়াতলে আশ্রয় দেব।’ (মুসলিম)


আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অন্যকে ভালোবাসার গুরুত্ব ইসলামে অনেক বেশি। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা যতক্ষণ মুমিন হবে না, ততক্ষণ জান্নাতে যেতে পারবে না। আর তোমরা যতক্ষণ পরস্পরকে ভালোবাসবে না, ততক্ষণ মুমিন হতে পারবে না। আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলে দেব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে সহজেই ভালোবাসা সৃষ্টি হবে। তা হলো সালামের প্রসার ঘটানো।’ (মুসলিম)


স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা পোষণ করা বড় সওয়াবের কাজ। মহানবী (সা.) স্ত্রীদের অনেক ভালোবাসতেন। তাঁদের সঙ্গে গল্প করতেন। আম্মাজান আয়েশা (রা.)-এর সঙ্গে দৌড় প্রতিযোগিতাও করেছেন তিনি। আয়েশা (রা.) পাত্রের যে অংশে মুখ লাগিয়ে পানাহার করেছেন, নবীজিও তাতে ঠোঁট লাগিয়ে পানাহার করেছেন।


এ ছাড়া মহানবী (সা.) শিশুদেরও অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাদের গালে চুমু এঁকে দিতেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। উপহার দিতেন। কখনো তাদের সঙ্গে খেলাধুলায় অংশ নিতেন। সালাম দিতেন।


ভালোবাসার নামে বিবাহবহির্ভূত অবৈধ যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ব্যভিচারের কাছেও যেতে নিষেধ করেছেন। সুতরাং ব্যভিচারে লিপ্ত হতে প্ররোচিত করে এমন সব বিষয় ইসলামে নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা ইসরা: ৩২)


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com