বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বাংলাদেশে এখনো ৫ মাসের আমদানি রিজার্ভ মজুদ রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে ১ সপ্তাহ আমদানি করার টাকা নেই। তারপরেও মির্জা ফখরুল বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার পর নোয়াখালীর কবিরহাট বাজারে বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামীলী লীগ আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আজ তলিয়ে গেছে, অর্থনীতিতে ডুবে গেছে। ফখরুল এখনো পাকিস্তানের জয়গান গায়। ৭১ ফখরুলের পছন্দ নয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়। সে জন্য মিটিং করতে গেছে গোলাপবাগের গরুর হাটে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবে না। কারণ সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে। ফেয়ারা পাকিস্তান। সেখানে ৭ মার্চের ভাষণ হয়েছে। ফখরুলের ফেয়ারা দোস্ত পাকিস্তান। এরা পাকিস্তানের কথা বলে সকালে ঘুম থেকে উঠে। পাকিস্তানের জয়গান গেয়ে রাতে ঘুমায়।
নারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিএনপি যদি আবারো ক্ষমতায় আসে বোরকা পরে ঘরে রাখবে। এরা যদি আবারো আসে আফগানিস্তান হবে বাংলাদেশ। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে না মেয়েরা। এরা ক্ষমতায় গেলে মেয়েরা সরকারি চাকরি করতে পারবেনা।
আজকে পুলিশের এসপি, ডিসি, মেয়ে, আজকে সচিব নারী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপ্রতি নারী, আর্মির মেজর নারী। কে করেছে? শেখ হাসিনা করেছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকা মানে স্মার্ট থাকা, শৃঙ্খলা মেনে চলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট কর্মী দরকার। স্টেজে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনা করে বলেন, কেউ বাকি নেই, সব নেতা। এত নেতা হলে কর্মীর কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।
সেতুমন্ত্রী বিএনপির নেতাকর্মীকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা তাদের আক্রমণকরতে চাই না। কিন্ত সিরাজগঞ্জের পাইক পাড়ায় আগুন নিয়ে ১৮টি মোটরসাইকেল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণকরে। তারা কারা? তাদেরকে বলতে চাই, যে হাত অস্ত্র নিয়ে আসবে সেই হাত ভেঙেদেব, যে হাত আগুন নিয়ে আসবে সেই হাত পুড়িয়ে দেব, যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে, সেই হাত গুটিয়ে দিতে হবে। আমরা আক্রমণকরব না। কিন্ত আক্রান্ত হলে আমরা কিন্ত ছাড় দেব না। হবে ফাইনাল খেলা, হবে ডিসেম্বরে, আগামী ডিসেম্বরে।
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় উপজেলা আওয়ামী লীগ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক শহীদ উল্যাহ খাঁন সোহেল,সেতুমন্ত্রীর ভাগনে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, কবিরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সদস্য মামুনুল হক মামুন প্রমূখ।
এ সময় সেতুমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকার কবিরহাট উপজেলার ৫১টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
বিবার্তা/ইকবাল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]