বাংলাদেশে এশিয়ান পর্যটক বাড়াতে ট্যুরিজম বোর্ডের নতুন উদ্যোগ
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ০৯:৫৮
বাংলাদেশে এশিয়ান পর্যটক বাড়াতে ট্যুরিজম বোর্ডের নতুন উদ্যোগ
পর্যটন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের আমন্ত্রণে গত ২৬ মে এশিয়ার চার দেশের শীর্ষ ট্যুর অপারেটররা ঢাকায় আসেন। নেপালের ১২ জন, ভুটানের ১৪ জন, শ্রীলঙ্কার ১৯ জন এবং ভারতের ৫২ জন প্রতিনিধি আসেন। 


পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার ঘুরে দেখেছেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের ৯৭ ট্যুর অপারেটর। 


সমুদ্রের গর্জন আর নান্দনিক ঢেউয়ের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন তারা। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নিজ নিজ দেশে গিয়ে কক্সবাজারের কথা বলবেন আর পর্যটক পাঠাবেন।


গত রবিবার তাদের ঢাকা থেকে কক্সবাজারে নিয়ে যায় ট্যুরিজম বোর্ড। ভারতের অধিকাংশ অপারেটর পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মনিপুর, ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অরুণাচলের। ভুটান ও শ্রীলঙ্কার অধিকাংশ নাগরিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। সে দেশের প্রতিনিধিদের কক্সবাজারের এই স্পটটির প্রতি বাড়তি আগ্রহ ছিল। খালি পায়ে পাহাড়ের চূড়ায় মূর্তি দেখতে ও ছবি তুলতে যান তারা।


এসময় তাদের গৌতম বুদ্ধের মূর্তি সম্পর্কে ব্রিফ করেন সিংহশয্যা বুদ্ধমূর্তির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক করুণাশ্রী মহাথের। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলমানসহ সব সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে শান্তি লাভের জন্য আসেন। তারা এখানে এসে শান্তি লাভ করেন। জাপান ও থাইল্যান্ডের পর্যটকরাও এখানে এসে ঘুরে যান। আজ এশিয়ার যারা এলেন তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা।


মূর্তি দেখার পর প্রতিনিধি দলকে নেওয়া হয় কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ হয়ে পাটুয়ারটেক সি-বিচে। বিচে গিয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান বিদেশি অপারেটর প্রতিনিধিরা।


ভুটান গুরো অ্যাডভেঞ্চার্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রী প্যাল্ডেন বলেন, ভুটানকে কিংডম অব হ্যাপিনেস বলা হয়। ভুটান বাংলাদেশে আপেল-কমলার মতো ফল সরবরাহ করে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অনেক ভালো। আমরা বাংলাদেশের বিচ দেখে গেলাম। আমরা এখানে পর্যটক পাঠাব, পাশাপাশি বাংলাদেশিরাও পাহাড় দেখতে ভুটান যাবেন বলে আশা করি।


নেপালের রিভার ট্যুরিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিবা অধিকারি বলেন, আমি পৃথিবীর অনেক বিচ দেখেছি। তবে বাংলাদেশের বিচ অত্যন্ত মনোরম। পাশাপাশি নেপালের লোকজনের জন্য এটি অনেক কাছের একটি বিচ। অনেক কম খরচে নেপালিরা এখানে আসতে পারবে। আমরা দেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিচকে প্রমোট করব যাতে তারা কম খরচে বিচ দেখতে পারে। পাশাপাশি চাই বাংলাদেশিরাও নেপালে গিয়ে হিমালয় পর্বত দেখে আসবেন।


আসামের ট্যুর অপারেটর বড়ুন দে বলেন, যেসব জায়গায় ঘুরেছি খুবই ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ দেখতে যেমন সুন্দর, একইভাবে এখানকার লোকজন অনেক ভালো। আমরা চেষ্টা করব আসামের লোকজনকে বাংলাদেশে ঘুরতে পাঠাতে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে কলকাতার বিকন ট্যুর অপারেটরের প্রতিনিধি সন্দ্বীপ চৌরাসিয়া বলেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে কক্সবাজার অতুলনীয়। তবে আমি কিছু সমস্যা দেখলাম এখানে। পাটুয়ারটেক সৈকতে কোনো ডাস্টবিন আমার চোখে পড়েনি। আমি চিপসের কয়েকটা প্যাকেট দেখতে পেয়েছি। পর্যটকরা নোংরা বিচ পছন্দ করেন না। যদি ডাস্টবিন টাইপের কিছু থাকত জায়গাটা পরিষ্কার হতো।


সার্বিক আয়োজনের বিষয়ে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) মিডিয়া ও পাবলিকেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে এশিয়ান পর্যটক বাড়াতে চার দেশের ট্যুর অপারেটর নিয়ে ট্যুরিজম বোর্ডের এ আয়োজন। বিদেশি অপারেটরদের প্রতিনিধিরা সমুদ্র দেখে খুবই খুশি। আমরা দেখেছি ভুটানের লোকজন, যারা পাহাড় দেখে অভ্যস্ত, তারা কীভাবে সমুদ্র দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। তাদের অনুভূতি দেখে বোঝা যাচ্ছে যে বিদেশি পর্যটক টানতে আমরা একটা সম্ভাবনার জায়গায় যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি এ উদ্যোগের ফলে বিদেশি পর্যটকের নতুন দুয়ার খুলবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com