এবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের জন্য ব্যবস্থা
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৪, ২২:৩৫
এবার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদধারীদের জন্য ব্যবস্থা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

জালিয়াতি, প্রতারণা ও ভুয়া তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ে যারা এতদিন সরকারি ভাতা সুবিধা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন, তাদের কঠিন মাশুল গুনতে হবে এবার। সেই ভাতা সুদে-আসলে ফেরত নেবে সরকার। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থাও।


মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত ৮ হাজার ব্যক্তি এই জালিয়াতি করেছেন বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আগামী সপ্তাহ থেকে সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) চিঠি দেয়া হবে। এসব ব্যক্তির কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মানি ভাতা ফেরত নিয়ে সরকারি কোষাগারে জমা রাখা হবে। এ বিষয়ে ‘সরকারি পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩’ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।


১৯ জুন, বুধবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১২ জুন সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক থেকে সরকারি ভাতা সুদে-আসলে ফেরত নেওয়ার পরামর্শ, সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত এসেছে। আগামী রবিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর শুরু হবে।


তিনি বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে সংগ্রহ করা ৮ হাজার ‘মুক্তিযোদ্ধা সনদ’ আমরা বাতিল করেছি। এখন আমরা প্রত্যেকের জন্য একটি করে ফাইল খুলব। কে কত টাকা নিয়েছেন সেটি খুঁজে বের করব। আমরা জানি, ভাতা আদায়ের বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন। এ বিষয়ে মামলা হতে পারে, রিট হতে পারে; কিন্তু আমরা সরকারি টাকা আদায় করে ছাড়ব।


একই সঙ্গে কার সুপারিশে তারা (জালিয়াত) মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছিলেন- সেটিও অনুসন্ধান করা হবে বলে জানান মন্ত্রী মোজাম্মেল হক।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে দেশে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৩৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধাকে মাসিক ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা দিচ্ছে সরকার। এ ছাড়া ঈদ উপলক্ষ্যে ১০ হাজার করে দুটি বোনাস, বিজয় দিবসে ৫ হাজার টাকা এবং বাংলা নববর্ষের ২ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন তারা। খেতাবপ্রাপ্ত, শহিদ ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ১১ হাজার ৯৯৮ জন। তারা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে সম্মানী ভাতা পাচ্ছেন। সব মিলিয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধা বছরে সরকার থেকে ভাতা পান প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।


এ বিষয়ে মন্ত্রীর স্পষ্ট বার্তা, যারা জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েছেন, তাদের কাছ থেকে সরকারি টাকা (যে ভাতা নিয়েছেন) আদায় করে ছাড়ব।


সরকার ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর দেশের কোথাও কোনো মুক্তিযোদ্ধা তালিকার বাইরে থেকে গেছেন কিনা- তা নিশ্চিত করতে নতুন করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নেয়। তখন বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে অনলাইনে আবেদন আহ্বান করা হয়। ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর আবেদন গ্রহণ করা হয়। ওই সময় করা আবেদনগুলো ক, খ ও গ তালিকা নাম দিয়ে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়।


এক্ষেত্রে বিধান করা হয়, উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ে মুক্তিযোদ্ধারা আবেদনকারীকে শনাক্ত করবেন। যদি সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা এই মর্মে সাক্ষ্য দেন যে, আবেদনকারী একজন মুক্তিযোদ্ধা, তাহলে তার আবেদন ক-তালিকাভুক্ত করে গেজেট প্রকাশে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। জামুকার সুপারিশসহ মন্ত্রণালয় গেলে গেজেট প্রকাশ করা হয়।


গেজেটভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কমপক্ষে ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত সহযোদ্ধা/সহপ্রশিক্ষণ গ্রহীতা সাক্ষী ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপন করতে হবে। কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে থাকলে তিনি কোন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, তা ৩ জন ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর সহমুক্তিযোদ্ধার মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। ভারতীয়/লাল মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।


জানা গেছে, জামুকা দেশের ৮ বিভাগের জন্য আটজন খ্যাতিমান মুক্তিযোদ্ধাকে প্রধান করে আটটি কমিটি গঠন করে ২০১৯ সাল থেকে তালিকাভুক্তির জন্য করা মুক্তিযোদ্ধাদের আপিল শুনানি করছেন। শুনানিতে তারা জানতে বা দেখতে চান, কোথায় যুদ্ধ করেছেন, কত দিন ট্রেনিং করেছেন। কী কী অস্ত্রের ট্রেনিং নিয়েছেন। যুদ্ধে কী কী অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। কোথায় ট্রেনিং নিয়েছেন। সামরিক না বেসামরিক ক্যাম্পে ট্রেনিং নিয়েছেন। কমান্ডারের নাম কী। কোথায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী হয়েছিল। সহযোদ্ধা হিসাবে কেউ আহত কিংবা নিহত হয়েছেন কিনা। জীবিতদের মধ্যে কেউ বেঁচে আছেন কিনা? জীবিত সহযোদ্ধাদের তারা চেনেন কিনা। এছাড়া জন্মতারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে সনদপত্র এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে যেসব কাগজপত্র রয়েছে তা যাচাই করা হয়।


এছাড়া উপজেলা পর্যায়ের যাচাই-বাছাইয়ে যদি ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাক্ষ্য দেন আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবার ৪ জন যদি সাক্ষ্য দেন আবেদনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা না, তা হলে সে আবেদনটি খ-তালিকাভুক্ত করা হয়। এই তালিকার আবেদনকারী জামুকায় আপিল করেন। আর কারও আবেদনের বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধারা যদি সাক্ষ্য দেন তিনি অ-মুক্তিযোদ্ধা, তাহলে তার আবেদন গ-তালিকাভুক্ত করা হয় এবং তিনি জামুকায় আপিল করেন। বাছাই কমিটিতে টাকা লেনদেনেরও অভিযোগ রয়েছে।


এদিকে সরকার অনুমোদিত তালিকা যাচাই করে ভাতাপ্রাপ্ত সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ২০২০ সালের অক্টোবরে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) নামের একটি সফটওয়্যারে যুক্ত করা হয়েছে। নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয় ‘লাল মুক্তিবার্তা’, ‘ভারতীয় তালিকা’ ও ‘গেজেট’। বর্তমানে এই সমন্বিত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার।


এদিকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ডিজিটাল সনদ প্রস্তুত করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ওয়ারিশদের মাঝে বিতরণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় থেকে ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বা সনদ বাতিল হয়ে থাকলে তাদের ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ বন্ধ রাখতে হবে।


জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং সরকার অনুমোদিত বীর মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই করে ভাতাপ্রাপ্ত সব বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ২০২০ সালের অক্টোবরে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) নামের একটি সফটওয়্যারে যুক্ত করা হয়। নাম অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হয় ‘লাল মুক্তিবার্তা’, ‘ভারতীয় তালিকা’ ও ‘গেজেট’। বর্তমানে এই সমন্বিত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার।


অতীতে বিভিন্ন সময়ে এ ধরনের প্রতারণা চিহ্নিত হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল; কিন্তু কারও বিরুদ্ধেই কোনো মামলা বা আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


সরকারের পাঁচ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ নেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয় ২০১৪ সালে। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব এম নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন সচিব এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদারের মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাতিল করা হয় সাবেক সচিব এবং প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় তৎকালীন বেসরকারিকরণ কমিশনের চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের সনদও। সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার পর তাদের স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়।


অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ ছিল। তাদের বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


এ ব্যাপারে আইনি ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক); কিন্তু ১০ বছরে কোনো মামলা হয়নি। এছাড়াও, চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করেননি, অথচ পরে সনদ নিয়েছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া যায় একজন সচিবসহ ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।


ভুল ব্যাখ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সাময়িক সনদ নিয়েছিলেন সাবেক উপসচিব শেখ আলাউদ্দিন। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ ছিল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরুও করেছিল; কিন্তু সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি। বরং তিনি পেনশনের টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।


অসত্য তথ্য দিয়ে দীর্ঘদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মানী ভাতা নিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান শেখ হিমায়েত হোসেন। চাকরির বয়স ৫৯ হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (অবসর) আইন অনুযায়ী তিনি অবসরে যান; কিন্তু সম্মানী ভাতার টাকা ফেরত দেননি।


মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, শুধু যারা ভুয়া সনদ নিয়েছেন, তাদের নয়, যারা এসব সনদের জন্য সুপারিশ করেছেন, সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ফৌজদারি আইনের ৪১৬ ধারা অনুযায়ী, মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিলে তা অপরাধ। এছাড়াও, মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য তিন বছর জেল এবং মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদ দেখিয়ে ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিলে সাত বছর পর্যন্ত জেল হওয়ার কথা; আর মুক্তিযোদ্ধা না হওয়া সত্ত্বেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ নেয়ায় অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত সাতবার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে; আর বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় অন্তুর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বয়স, সংজ্ঞা ও মানদণ্ড পাল্টেছে ১১ বার। বর্তমানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসিক ২০ হাজার টাকা ভাতা পাচ্ছেন। তা ছাড়া দুই ঈদে ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা, বিজয় দিবসে পাঁচ হাজার টাকা এবং বাংলা নববর্ষে দুই হাজার টাকা ভাতা পান। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বছরে সব মিলিয়ে পান প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা।


একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির সংবাদ মাধ্যমকে জানান, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও অসত্য তথ্য দিয়ে যারা সনদ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ফৌজদারি মামলা করা উচিত। শুধু সনদ বাতিল বা ভাতা আদায় কোনো শাস্তি নয়।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com