স্বাধীন অর্থনীতিতে ৭ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৩৬
স্বাধীন অর্থনীতিতে ৭ ধাপ উন্নতি বাংলাদেশের
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

অর্থনৈতিক স্বাধীনতার সূচকে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক থিংক ট্যাংক হিসেবে পরিচিতি হেরিটেজ ফাউন্ডেশন।


হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের ২০২৪ সংস্করণটি সূচকের ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।


তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচকে ১৭৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সাত ধাপ এগিয়ে ১১৬তম স্থানে উঠে এসেছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে মুক্ত দেশ হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। অর্থনৈতিকভাবে ‘নিপীড়িত’ ক্যাটাগরিতে যথাক্রমে ১৫৭, ১৪৯ ও ১৪৭ তম অবস্থানে থাকা মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান অর্থনৈতিক স্বাধীনতার বৈশ্বিক র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।


২০২৪ সালের অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে মুক্ত দেশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটানের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির অর্থনৈতিক স্বাধীনতা স্কোর অবশ্য ২০২৪ সালের সূচকে ১০০ এর মধ্যে ৫৪ দশমিক-এ অপরিবর্তিত রয়েছে, যা গত বছরের মতোই ছিল, যখন বাংলাদেশ ১২৩ তম অবস্থানে ছিল।


সিঙ্গাপুর বিশ্বের সর্বাধিক মুক্ত অর্থনীতি হিসাবে তার অবস্থান ধরে রেখেছে, তারপরে দ্বিতীয় স্থানে আছে সুইজারল্যান্ড এবং এরপর আছে আয়ারল্যান্ড, তাইওয়ান, এবং লুক্সেমবার্গ। উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, সুদান এবং জিম্বাবুয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বের সবচেয়ে কম মুক্ত দেশ হিসাবে রয়ে গেছে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, যারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পক্ষে তাদের অন্তর্নিহিত ধারণা হচ্ছে, ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষাগুলো সবচেয়ে ভালো জানেন এবং একটি স্ব-পরিচালিত জীবন, সরকার বা টেকনোক্র্যাটিক অভিজাতদের পরিবর্তে নিজের দর্শন এবং অগ্রাধিকার দ্বারা পরিচালিত একটি পরিপূর্ণ অস্তিত্বের ভিত্তি।


এ বছর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম, কারণ দেশটির অর্থনৈতিক স্বাধীনতা স্কোর বিশ্বের গড় ৫৮ দশমিক ৬ এবং আঞ্চলিক গড় ৫৭ দশমিক ৪ এর চেয়ে কম। উপরন্তু, বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘বেশিরভাগ অবাধ’ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।


বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০১০ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ‘বেশিরভাগ অবাধ’ হিসাবে বিবেচিত হয়েছে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের কাছে।


বিনিয়োগ ও রিজার্ভ বাড়াতে বিস্তৃত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং সেবাবিনিয়োগ ও রিজার্ভ বাড়াতে বিস্তৃত হচ্ছে অফশোর ব্যাংকিং সেবা।


১৯৯৫ সালে চালু হয় অর্থনৈতিক স্বাধীনতা এই সূচক। মূলত চারটি নীতির বিস্তৃত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশকে মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো- আইনের শাসন, সরকারের আকার, নিয়ন্ত্রক দক্ষতা ও উন্মুক্ত বাজারে ব্যবস্থাপনা।


এছাড়া সম্পত্তির অধিকার, বিচারিক কার্যকারিতা, সরকারের সততা, করের বোঝা, সরকারি ব্যয়, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা স্বাধীনতা, শ্রম স্বাধীনতা, আর্থিক স্বাধীনতা, বাণিজ্য স্বাধীনতা, বিনিয়োগের স্বাধীনতা ও আর্থিক স্বাধীনতা- এই ১২টি বিভাগও দেখা হয় মূল্যায়নের সময়। এই বিভাগগুলোর ফল যোগ করে প্রস্তুত করা হয় সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্বাধীনতা স্কোর।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com