৫২ বছরেও আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি ২৫ মার্চ
প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ১১:৩৯
৫২ বছরেও আন্তর্জাতিক গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি ২৫ মার্চ
প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সামিনা বিপাশা, মহিউদ্দিন রাসেল ও রিয়াদ রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

ফিরে যেতে হয় আরো ৫২ বছর আগে। ২৫ মার্চ, ১৯৭১। 'অপারেশন সার্চলাইট' খুব সাধারণ নামের একটি অভিযান। আসলে পৃথিবীর ইতিহাসের এটি এক নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ। যা নিরীহ নিরস্ত্র বাঙালির উপর রাতের আঁধারে ঘটানো হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়ার উদ্দেশ্যে ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পূর্ব পরিকল্পিত অপারেশন সার্চ লাইটের নীলনকশা অনুযায়ী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। 



কিন্তু এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা মুছে ফেলতে পারেনি। বরং বাঙালি ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে শিখে নেয় লড়াইয়ের মূলমন্ত্র। 



২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শুরু হয় স্বাধীনতার লড়াই। তারপর ৯ মাসের সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।


অস্ট্রেলিয়ার 'সিডনি মর্নিং হেরাল্ড' পত্রিকার ভাষ্যমতে শুধুমাত্র পঁচিশে মার্চ রাতেই বাংলাদেশে প্রায় এক লক্ষ মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, যা গণহত্যার ইতিহাসে এক জঘন্যতম ভয়াবহ ঘটনা। পরবর্তী নয় মাসে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার লক্ষ্যে ৩০ লাখ নিরপরাধ নারী-পুরুষ-শিশুকে হত্যার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও দোসররা পূর্ণতা দিয়েছিল সেই বর্বর ইতিহাসকে।


'সেই রাতে ৭০০০ মানুষকে হত্যা করা হয়, গ্রেফতার করা হল আরও ৩ হাজার লোক। ঢাকায় ঘটনার শুরু মাত্র হয়েছিল। সমস্ত পূর্ব পাকিস্তানে সৈন্যরা বাড়িয়ে চলল মৃতের সংখ্যা। জ্বালাতে শুরু করল ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট। লুট আর ধ্বংস যেন ওদের নেশায় পরিণত হল। রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহগুলো কাক-শেয়ালের খাবারে পরিণত হল। সমস্ত বাংলাদেশ হয়ে উঠল শকুন তাড়িত শ্মশান ভূমি।' (২৫ মার্চ রাত সম্পর্কে মার্কিন সাংবাদিক রবার্ট পেইন)।


আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা থেকে এই গণহত্যার স্বীকৃতি মিললেও আসেনি জাতিসংঘ থেকে। ২০১৭ সালে ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই সময় থেকে ২৫ মার্চ বাংলাদেশে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। তবে তার আগেই ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।


১৯৪৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’ গৃহীত হয়। সে কারণে ওই দিনটিকেই আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয় জাতিসংঘ। এর ফলে জাতিসংঘ থেকে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের গণহত্যার স্বীকৃতির বিষয়টি জটিল হয়ে পড়ে। মুক্তিযুদ্ধের ৫২ বছর পর এখনো গণহত্যার স্বীকৃতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। 



১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পিলখানা, রাজারবাগ, নীলক্ষেত আক্রমণ করে পাকিস্তানি সেনারা। হানাদার বাহিনী ট্যাঙ্ক ও মর্টারের মাধ্যমে নীলক্ষেতসহ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা দখল নেয়। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহানে নগরীর রাত হয়ে উঠে বিভীষিকাময়।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রসঙ্গে বিবার্তাকে বলেন, ২৫ মার্চ পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানো হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এর অন্যতম টার্গেট। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ওই বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য করতে চেয়েছিল। জহির রায়হান তার স্টপ জেনোসাইডের মাধ্যমে এই গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেন। শুধু পাকিস্তান নয় তখনকার বিশ্বের কিছু ক্ষমতাধর দেশও সে সময় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল। দেশের আকাশে অন্ধকার নামাতে চেয়েছিল।


তিনি বলেন, এখন আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে এটাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করার জন্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার। এ দিনটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ের মাধ্যমে সারা বিশ্বে গণহত্যাবিরোধী চেতনা প্রকাশ পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।    


এই অভিযানের নির্দেশনামা তৈরি করে পাকিস্তানের ২ সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা ও মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী।


লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এ কে নিয়াজীর জনসংযোগ অফিসারের দায়িত্বে থাকা সিদ্দিক সালিকের 'উইটনেস টু সারেন্ডার' গ্রন্থেও এ সংক্রান্ত একটি বিবরণ পাওয়া যায়। সিদ্দিক সালিক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জেনারেল নিয়াজীর পাশেই ছিলেন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অনুগত পাকিস্তানি হিসাবে পাক সামরিক জান্তার চক্রান্ত তিনি খুব কাছে থেকেই দেখেছেন। ২৫ মার্চ, অপারেশন সার্চ লাইট শুরুর মুহূর্ত নিয়ে তিনি লিখেন 'নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সামরিক কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। এমন আঘাত হানার নির্ধারিত মুহূর্ত (এইচ-আওয়ার) পর্যন্ত স্থির থাকার চিহ্ন বিলুপ্ত হয়ে গেল। নরকের দরজা উন্মুক্ত হয়ে গেল।'


সেই রাতে পাকিস্তানি হায়েনাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়নি রোকেয়া হলের ছাত্রীরাও। ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব ও জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, ড. মনিরুজ্জামানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৯ জন শিক্ষককে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। ঢাবির জগন্নাথ হলে চলে নৃশংসতম হত্যার সবচেয়ে বড় ঘটনা। এখানে হত্যাযজ্ঞ চলে রাত থেকে সকাল অবধি।


২৫ মার্চের গণহত্যা নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বিবার্তাকে বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নির্বিচারে এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বের ইতিহাসে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আর ঘটেনি। তাই এটিকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির জন্য জোর দাবি জানাতে হবে। আর এই দিনে গণহত্যার শিকার বীর শহিদের স্মরণ করে আমরা আমাদের চেতনাকে শাণিত করতে পারি।


তিনি বলেন, শোষণে শুষ্ক এই পূর্ব বাংলায় ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারালেন। ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি হলো। এরপরও তাদের তৃষ্ণা মেটেনি। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করল। রক্তাক্ত করল বাংলাকে। অপরাধ ছিল- বঙ্গবন্ধু নজরুলকে ধারণ করেছিলেন। নজরুল বলেছিলেন- বাংলা বাঙালির হউক। অপরাধ ছিল রবীন্দ্রনাথকে ধারণ করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন- আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত- তাদের ধারণ করেই তো বাংলা প্রতিষ্ঠা করলেন। অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শোষণে শুষ্ক পূর্ব বাংলা মুক্তির মহানায়কের রক্তে রঞ্জিত হলো। আমরা রক্তঋণে আবারও বন্দি হলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের নতুন প্রজন্মকে নির্মাণ করতে হবে। তারা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়, বঙ্গবন্ধুর চিন্তার চেতনায়, সংবিধানের ৪ মূলনীতির চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ে তোলে।


৭ মার্চের ভাষণের সাথে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সংযোগ রয়েছে জানিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা মূলত ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিশোধের সংযোগ বলে আমি অন্তত দেখতে পাই। এটা এই কারণে যে, বঙ্গবন্ধুকে কারাগারে নেওয়ার পর থেকে তারা হত্যার পরিকল্পনা করছিল। কিন্তু তাঁর যে জনমত বিশেষ করে ৭ মার্চের ভাষণে তাঁর যে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে, সেই কারণে তাকে হত্যার সাহস পশ্চিম পাকিস্তানিরা পায়নি। কিন্তু পরবর্তীতে পাকিস্তানিদের দোসররা বিশেষ করে সামরিক বাহিনীতে জিয়া পুরো পরিকল্পনার প্রেক্ষাপটটা তৈরি করে দেন। ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতাও সূদুরপ্রসারী ছিল। সেই কারণে এই ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই ভাষণে বলা হয়েছে, 'আর দাবায়ে রাখতে পারবা না' এটার মধ্য দিয়ে কী দাঁড়ায়? একবারেই একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তিও যদি আলাদাভাবে দেখেন তাহলে তিনি যদি বিপ্লবী মানুষ হন, সম্ভাবনার মানুষ হন কিংবা প্রতিশ্রুতিশীল মানুষ হন না কেন?প্রতিকূলতার মধ্য নিজের শক্তি, সাহসকে উজার করে রুখে দাঁড়াতে এই বাক্যটটি অনেক বেশি কার্যকর। ফলে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ আমৃত্যু আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাবে। একইসাথে বঙ্গবন্ধুও অমর হয়ে থাকবেন।


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বিবার্তাকে বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে এক বিভীষিকাময় ভয়াল রাত নেমে এসেছিল। আমার মনে হয় না যে আমরা কেউ এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। পাকিস্তানি বাহিনীর ‘অপারেশন সার্চলাইটে’র নামে মুক্তিকামী বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন শুরু হয় এই রাতে।


ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যা মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অপরাধগুলোর মধ্যে একটি। এত বেশিসংখ্যক মানুষ হত্যা এবং বর্বরতার এমন উদাহরণ বিশ্বে আর একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না।


বুয়েটের এই অধ্যাপক আরও বলেন, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এ দিন মধ্য রাতে বিভিন্ন জায়গায় ভয়ংকর হামলা চালায়। এতে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, নীলক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে তখন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল লাশের পর লাশ। মধ্যরাতের ঢাকা তখন লাশের শহর পরিণত হয়।


তিনি বলেন, এই রকম ভাবে হঠাৎ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আক্রমণ করা হবে এটা আমাদের কল্পনাতীত ছিল। সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে, ট্যাঙ্ক-মর্টারের গোলায় ও আগুনের লেলিহান শিখায় ঢাকা শহর হয়ে উঠে বিভীষিকাময়। এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত। এমনভাবে নিরস্ত্র-ঘুমন্ত মানুষের ওপর চালানো এ হত্যাযজ্ঞে স্তম্ভিত হয়েছিল সারাবিশ্ব।


মোহাম্মদ কায়কোবাদ বলেন, বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা মুছে দেওয়ার চেষ্টায় ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ গণহত্যা শুরু করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এরপর তাদের মোকাবিলায় বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। প্রত্যেক শহরে যাওয়ার রাস্তা ভেঙ্গে ফেলা হয়, তারা যেন আসতে না পারে। কিন্তু আমাদের প্রতিরোধ বেশিদিন টিকে নাই। তারা রাজাকারদের নিয়ে সারা দেশের মানুষের উপর অত্যাচার করতে থাকে।


পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অতর্কিত গণহত্যা কোথাও হয়নি বলে জানান ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ অস্ত্র চালাতে জানত না। কিন্তু দেশকে মুক্ত করার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিল জীবন বাজি রেখে। তাই আমি মনে করি দেশের অগ্রগতি আরও অনেক অনেক হওয়া উচিত। আশা করি আমরা আগামীতে সঠিক পথে থাকব, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান ও তার মান রাখব, দেশকে সবাই মিলে অগ্রগতির দিয়ে নিয়ে যাব।


প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অপারেশন সার্চ লাইট পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সব পদক্ষেপ চূড়ান্ত করে গোপনে ঢাকা ত্যাগ করে করাচি চলে যায়। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। এটি ছিল বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্নকে বিনষ্ট করার আরেকটি অন্যতম উদ্যোগ। গ্রেফতারের আগে ২৬ মার্চ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোন মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। 


বঙ্গবন্ধুর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই শেষে একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর পূর্ণ বিজয় অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।


বিবার্তা/রাসেল-রিয়াদ/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com