বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি: আমাদের প্রস্তুতি ও করণীয়
প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৩৩
বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝুঁকি: আমাদের প্রস্তুতি ও করণীয়
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের অধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দফায় দফায় এই দুটি দেশে ভূমিকম্প হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির মর্মান্তিক এই ভূমিকম্প ছাড়াও ৭টি দেশে ভূমিকম্প হয়েছে। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। কক্সবাজারে ভূমিকম্প হলেও মাত্রা কম থাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আশপাশের দেশগুলোতে ভূমিকম্প হওয়ায় বাংলাদেশেও ভূমিকম্পের ঝুঁকির বিষয়টি আলোচিত হচ্ছে। দেশের ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন,ফল্ট লাইন দিয়ে ২ প্লেটের সংঘর্ষ হলে ভূমিকম্প হয়। তবে ভূমিকম্প কখন, কিভাবে হবে এটা অনিশ্চিত বিষয় হলেও এর ঝুঁকি নিরসনে অবশ্যই বিল্ডিং কোড মানাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।



তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক-সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটি ইতিহাসের ভয়াবহ ভূমিকম্পের মধ্যে একটি। এই ভূমিকম্পে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখনো এর সংখ্যা বাড়ছে।



ভয়াবহ ওই ভূমিকম্প আঘাত হানার তিনদিন পর অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূল পাপুয়ায় আঘাত হানে ৫ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পে চারজন নিহত এবং বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্বিতীয় দফায় দেশটিতে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে ১১ ফেব্রুয়ারি।


এদিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তান ও সিকিমে আঘাত হানে ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প। এক মাসের মধ্যে আফগানিস্তানের এটি দ্বিতীয় ভূমিকম্প। এর আগে ২২ জানুয়ারি সকালে ৪ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। তবে কোথাও কোন প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। ১৬ ফেব্রুয়ারিতে ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হানে ভূমিকম্প। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার মতে, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১।


২২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার বিকেলে নেপালের পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে ৫ দশমকি ২ মাত্রার ভূমিকম্প। তবে ওই ভূমিকম্পে কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি দেশটির বাজুরায় ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে একজন নিহত হয়েছিলেন।



এদিকে ২৩ ফেব্রুয়ারি চীন-তাজাকিস্তান সীমান্তে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সর্বশেষ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন। এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৮। তবে এই ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।



গত মাসে বিভিন্ন দেশে ভূমিকম্পের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। কেননা, ভূমিকম্প ঝুঁকিতে বাংলাদেশের নামও আসছে। ফলে দেশে ভয়াবহ ভূমিকম্প হবে কি-না সেটি মানুষের বড় উদ্বেগের বিষয়।


ভূমিকম্প নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমন ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।


প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও ভূতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তুলে ধরে বলেন, ৮.৩ থেকে ৮.৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে তিনি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গৃহ নির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় দেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য শিক্ষক, গবেষক, নীতিনির্ধারক, গণমাধ্যম কর্মী এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থার পেশাজীবীদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।


দেশের ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, ফল্ট লাইন দিয়ে ২ প্লেটের সংঘর্ষ হলে ভূমিকম্প হয়। তবে ভূমিকম্প কখন, কিভাবে হবে এটা অনিশ্চিত বিষয় হলেও এর ঝুঁকি নিরসনে অবশ্যই বিল্ডিং কোড মানা উচিত।


বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ড. মো. হোসেন মনসুর বিবার্তাকে বলেন, ভূমিকম্প আমাদের এখানে প্রতি বছর হয়। তবে তার মাত্রা থাকে কম। কোনটার মাত্রা ৩, আবার কোনটার ৪,৫ এই রকম হয়ে থাকে। এটা হওয়ার প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশের পূর্ব দিক দিয়ে মাটির নিচে থাকা টেকটনিক প্লেটের স্থান পরিবর্তনের ফলে ভূমিতে কম্পন অনুভূত হয় অর্থাৎ এটার শক্তি জমে পরবর্তীতে ভূমিকম্পটা হয়।


তিনি বলেন, আমাদের দেশে ভূমিকম্প নিয়ে যারা গবেষণা করেন তারাসহ ভারত, রাশিয়া, জাপানের গবেষকরাও বলছেন যে, এখানে বড় ধরণের একটা শক্তি সঞ্চয় হচ্ছে। কিন্তু কবে ভূমিকম্প হবে এটা কোনভাবেই বলা সম্ভব না। ঢাকা শহরেও ভূমিকম্প আসবে কি-না? আসলেও কি মাত্রায় আসবে এটাও বলা সম্ভব না। ভূমিকম্প কবে হবে? হয়তো এখন হলো না, ২০০ বছর বা ৫০ বছর পরে হবে। আর যদি হয়ও সেখানে প্রস্তুতি সেইভাবে থাকে না। আমাদের দেশে ফায়ার ব্রিগেড আছে, সেনাবাহিনী আছে। তারা দুর্যোগ মোকাবেলা করে থাকেন। আর এই ইউনিটগুলোকে আরও ট্রেইনড আপ করতে হবে। এটার কোন বিকল্প নাই।


তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের ভয়ভীতির দরকার নাই। কারণ সাধারণ মানুষ এটা নিয়ে তেমন বুঝবেও না। তারা এটাও জানে না যে, ভূমিকম্প হবে কি হবে না? আর হলে কত মানুষ মারা যাবে? এগুলো তাদের জানার বাইরে। এরপরেও এগুলো ছড়িয়ে পড়লে তাদের মাঝে ভীতির সঞ্চার হবে ঠিকই কিন্তু নিস্তার তো আর পাওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে আমি বলব ভূমিকম্প হলে সাথে সাথে ঘর থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।


ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত জানতে চাইলে এই ভূতত্ববিদ বলেন, এখানে বিল্ডিং কোড মেনে চলাই হলো আসল কথা। ঢাকা শহর এতো দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে- যেখানে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মানা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পরিসংখ্যান দেখলে সেটা আরও স্পষ্ট করে বলা যাবে। ভূমিকম্প নিরসনের জন্য যে সতর্কতা বা কনস্ট্রাকশনের বাড়তি নজর দেওয়ার প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলোও ঠিকমতো করা হচ্ছে না। এটা খুব বেশি দামেরও নয়। কিন্তু এরপরেও করে না। একটা বিল্ডিং যখন হয় তখন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) উচিত প্রোপার মনিটরিং করা। কিন্তু এই মনিটরিংটা অনেকসময় তারা করেন না। তারা দায়সারা ভাব করেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে ধামাচাপা দিয়ে অনুমোদন দিয়ে দেয়। আমি বলতে চাই যেসব বিল্ডিং হয়ে গিয়েছে, সেগুলো তো আর ভেঙে ফেলা যাবে না। কারণ হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বিল্ডিং তো আর ভাঙা সম্ভব না। কিন্তু নতুন যেসব বিল্ডিং হবে সেগুলো যাতে বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হোক।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান বিবার্তাকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরান‘বাংলাদেশের ভূমিকম্প ঝুঁকি প্রশমন ও প্রস্তুতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা করেছিলাম। সেখানে দেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকির মাত্রা ৮ দশমিকের বেশি আমাদের স্ট্যাডিতে এসেছে। এটা কত দূরে হবে সেটা হলো কথা। যদি এটা দূরে হয় তাহলে ভূমিকম্পের কম্পনটা মধ্য অঞ্চলে যেমন ঢাকা শহরে অতো হবে না। সমস্যা হচ্ছে আমাদের বিল্ডিং দুর্বল। এই বিল্ডিংগুলোকে আমরা যথাযথভাবে কনস্টাকশনে করি নাই। এজন্য আমাদের ঝুঁকিটা বেড়ে গেছে। ভূমিকম্পের শেকিংয়ের যে হ্যাজার্ড সেটা কিন্তু বাড়ানোও যায় না, কমানোও যায় না। হ্যাজার্ড একটা নির্দিষ্ট সীমায় থাকবে। যদি কাছে আটকিয়ে দেয় তাহলে হ্যাজার্ড বাড়বে, অন্যথায় কমবে।


তিনি বলেন, আমাদের ঝুঁকি বেড়েছে বিল্ডিং কনস্টাকশন দুর্বল হওয়াতে। আমরা যদি আমাদের বিল্ডিংগুলোকে শ্যাকিং এর রেসপন্স অনুযায়ী করি, তাহলে এগুলো ঝুঁকিতে পড়বে না। কাজেই আমাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি নিয়ে বিল্ডিং কোড মেনে প্রপারলি কনস্টাকশনের কাজগুলো করতে হবে। আমাদের বিল্ডিং কোডে শ্যাকিং এর লেভেলটা দেওয়া আছে। সেটা অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে। এটা হলো দীর্ঘমেয়াদী। আরেকটা হলো ইমারজেন্সি রেসপন্স। সব বিল্ডিং তো আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবো না। অনেক সময় মাঝারি ভূমিকম্পেও অনেক ভবন ধসে পড়ে। তখন এগুলোকে উদ্ধারের জন্য ইমারজেন্সি রেসপন্স থাকতে হবে অর্থাৎ এক্ষেত্রে উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস, আর্মড ফোর্সগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তাদের ম্যান পাওয়ারও বৃদ্ধি করতে হবে এবং একইসাথে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদী সংগ্রহ করে রাখতে হবে। আর এসব ইনস্ট্রোমেন্ট শুধু আমাদের ভূমিকম্প সময়ে লাগবে না, বরং ছোট খাটো অনেক দুর্ঘটনায়ও এগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।


তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ কিন্তু উন্নত হচ্ছে। কাজেই এখন দেশে বড় বড় ইনভেস্টমেন্ট হবে, বিল্ডিং হবে। ফলে এগুলোর জন্য দুর্যোগের সময়ে উদ্ধারের জন্য আমাদের ওইভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত। ভূমিকম্প কবে হবে? এটার জন্য তো ইনস্ট্রোমেন্টগুলো পড়ে থাকবে না, এগুলো তো অন্য জায়গায় কাজে লাগতেছে। আরেকটা ব্যাপার হলো ভূমিকম্প হয়ে যাওয়ার পরে যে উদ্ধার তৎপরতা সেটার জন্য আমাদের উন্মুক্ত জায়গা নাই। ঢাকা শহরের কোথায় উন্মুক্ত জায়গা আছে? এটা খুঁজে বের করে কিভাবে ম্যানেজমেন্ট করতে হয়, সেটার ট্রেনিং দরকার আছে।


ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে এই ৩টি স্টেপকে মাথায় রেখে সেই মোতাবেক প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে আগের প্রস্তুতি অনেক লম্বা প্রসেস। আমাদের মাথায় রাখতে হবে বেশি ডিউরেশনে অনেক বড় ভূমিকম্প হয় কিন্তু অল্প ডিউরেশনে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। কারণ, বেশি ডিউরেশনে বেশি শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে, আর সেটা একসাথে বের হচ্ছে। ফলে ভূমিকম্প হচ্ছে। আরেকটা বিষয় আমরা যে নগরায়ন করছি সেখানে গাড়ি ঢুকতে পারে না, রাস্তা নাই, রোগীও বের করার জায়গা থাকে না। কী একটা অবস্থা! এই অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে। সর্বোপরি, ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে আমাদের বিল্ডিং কোড মেনে, প্রপার অর্গানাইজেশনে কাজ করতে হবে।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার সাহা বিবার্তাকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের আশপাশের দেশগুলোতে ভূমিকম্প হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় এটা বিভিন্ন মাত্রায় হচ্ছে। এটা অবশ্যই বড় উদ্বেগের বিষয়। আর ভূমিকম্পের ক্যাজুয়েল ট্রিপ ৬ এর উপরে। তবে এটা যেকোন সময় হতে পারে। আমি এখন আপনার সাথে কথা বলছি-এখনও হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। প্রবাবিলিটি আর আনসারটেইনটি অর্থাৎ শতভাগ সম্ভাব্যতা আর শতভাগ অনিশ্চিয়তা এখানে কাজ করে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিয়ে কেউ বলছে, ৮ মাত্রার আবার কেউ বলছে ৯ মাত্রার। তবে এক্ষেত্রে মাত্রা যেটাই হোক অর্থাৎ যে মাত্রায় বাংলাদেশের ক্ষতি হবে সেটার ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা আমাদের আছে কি-না সেটা দেখার বিষয়।


তিনি বলেন, আমাদের যদি ৬ মাত্রার ভূমিকম্পও হয় তাহলে রাজধানী ঢাকা শহর মাটির সাথে মিশে যাবে। তখন অল্প কিছু বিল্ডিং ভূমিকম্পের সহনীয় অবস্থায় থাকবে। আর যারা ৮/৯ মাত্রার কথা বলছেন সেটা যদি হয়ে থাকে তাহলে সেটাতে শুধু ভবন ধস নয়, কয়েক লক্ষ লোকও মারা যাবে। কাজেই ভূমিকম্পের ঝুঁকি নিরসনে আমাদের বিল্ডিং কোড মানাসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।


বিবার্তা/ রাসেল/ রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com