
ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি মিডিয়া সকলকে চাপে রাখে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, মিডিয়ার কারণে আমরা কিন্তু চাপে থাকি— কি বলতে কি বলে ফেলি। কোনটা বলতে হবে, কোনটি গোপন রাখতে হবে। কারণ মিডিয়া তো সব প্রচার করে দেবে।
২৯ জানুয়ারি, রবিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরতসাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি- আরএফইডি এর নতুন কমিটির দায়িত্বগ্রহণ ও পুরাতন কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন সিইসি।
সিইসি বলেন, মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে খুব একটা বেশি কথা বলার প্রয়োজন পড়ে না। আমরা যদি মিডিয়াকে দেশ থেকে একেবারেই ব্লাকআউট করে দিতে পারি, তাহলে কিন্তু ডিজাস্টার হয়ে যাবে। রাষ্ট্রই বিনষ্ট হয়ে যাবে। মিডিয়া ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে। মিডিয়া সকলকে চাপে রাখে।
তিনি বলেন, এখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর থেকে মিডিয়ার ভূমিকাটা অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার আমার সুযোগ হয়েছে। আমরা এমনিও মিডিয়ার সাথে পরিচিত। কারণ ঘুম থেকে উঠেই আমরা পত্রিকা পড়ি। আমরা শুধু বই পড়েই জ্ঞান অর্জন করি তা নয়, মিডিয়াও আমাদের জ্ঞান-মেধা ও দায়িত্ববোধকে জাগ্রত করে।
সিইসি বলেন, আপনারা বস্তনিষ্ঠভাবে সংবাদ সংগ্রহ করবেন, পরিবেশন করবেন। আমাদের মধ্যে যদি কোনো বিচ্যুতি ঘটে এবং সেটি যদি আপনাদের দৃষ্টিতে চলে আসে। সেটি কেনো প্রচার করবেন না। আমার বিচ্যুতি ঘটবে কেন? সেগুলো আপনারা করবেন। আপনারা সেটি করেন বলেই ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য অনেকটা তৈরি হয়।
গত কমিটি যে সংবাদগুলো প্রচার করেছেন তা বস্তুনিষ্ঠভাবেই করেছেন। এটি প্রশংসার দাবি রাখে বলেন সিইসি। সিইসি আরও বলেন, সামনে সাধারণ নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে রাজনৈতিক কারণ ও ঐতিহাসিক কারণে। সেই নির্বাচনটা ঘনিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, এখানে আপনাদের ভূমিকা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয়। তাহলে সকলের মাঝে ইতিবাচক হয়। নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মিডিয়ার কারনে তারাও সচেতন থাকেন। এমনকি যারা শক্তিমান তারাও মিডিয়ার ভূমিকাকে মূল্যায়ন করনে, যদি তারা বিবেকবান হন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, আপনারা (সাংবাদিক) যা ইচ্ছা লিখতে পারেন। কারণ আপনারা আপনাদের কাজের জন্য নিজেদের কাছে নিজেরা দায়বদ্ধ।
নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে সাংবাদিকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আপনারা কমিশনের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। পাশাপাশি কমিশনের কার্যক্রম ইতিবাচকভাবে তুলেও ধরবেন। তবে নির্বাচনের উপর জনগণের নেতিবাচন ধারণা তৈরি না হয় সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিবার্তা/সানজিদা/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]