বাঙালি জাগরণের মহাজাদুকর শেখ মুজিব (পর্ব ২৫-২৬)
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০৮:৫৭
বাঙালি জাগরণের মহাজাদুকর শেখ মুজিব (পর্ব ২৫-২৬)
এফ এম শাহীন
প্রিন্ট অ-অ+

২৫.


১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সময়ে একটি পোস্টার ছাপা হয়েছিল ‘সোনার বাংলা শ্মশান কেন?’ পোস্টারটিতে বলা হয়েছিল ’৭০ এর ভয়াল ঘূর্ণিঝড়ের কথা। ১৯৭০-এর ১২ নভেম্বর বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াল ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসে হয়। প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করে এই মহাদুর্যোগে। অনেক পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, অনেকে পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বাবা-মা, ভাইবোন হারিয়ে নিঃস্ব হয়। এই ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের ভয়াবহ দুর্দিনে যখন বাংলার মানুষ ‘অসহায়’ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি, লাখো মানুষের মৃতদেহ দেখে সহ্য করতে পারছিলেন না বঙ্গবন্ধু। সেই দুর্দিনে তিনি কখনো ত্রাণ নিয়ে, কখনো সরকারি সাহায্য মঞ্জুর করতে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ান।


এদিকে গণঅভ্যুত্থানের বিরূপ প্রভাবে ১৯৬৯ সালের ২৪শে মার্চ আইয়ুব খান রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। ২৫শে মার্চ ইয়াহিয়া খান উক্ত পদে আসীন হন। তিনি ১৯৬৯ সালের ২৮শে মার্চ এক ঘোষণায় পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দেন। আবার ১৯৭০ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রায় ১ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় এবং ১০ লক্ষ মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়ে। এতে জনগণ পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের দুর্বল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে ‘স্থানীয় নেতাদের ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করে।এদিকে বঙ্গবন্ধু বাস্তুহারাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে থাকেন। ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নির্বাচনের সময়সূচি পিছিয়ে দেয়া হয়।


পরে ১৯৭০ সালের ৭ই ডিসেম্বর (জাতীয়) ও ১৭ই ডিসেম্বর (প্রাদেশিক) “এক ব্যক্তির এক ভোটের ভিত্তিতে” নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময় জাতীয় পরিষদে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৩ জন। তন্মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান থেকে ১৬৯ জন এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ১৪৪ জন প্রতিনিধি থাকতেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জাতীয় ও প্রাদেশিক আইনসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বরাদ্দকৃত ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৬৭টি আসনে বিজয়ী হয়। পূর্ব পাকিস্তানের ২টি আসন ছাড়া বাকি সবগুলোতে জয়ী হওয়ায় জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাও অর্জন করে আওয়ামী লীগ। ১৭ই ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক নির্বাচনের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৮টি আসনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।


নির্বাচনের ফলাফল পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে মেরুকরণ সৃষ্টি করে। পশ্চিম পাকিস্তানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতা জুলফিকার আলি ভুট্টো, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বায়ত্বশাসনের নীতির প্রবল বিরোধিতা করেন। ভুট্টো অধিবেশন বয়কট করার হুমকি দিয়ে ঘোষণা দেন যে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান মুজিবকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানালে তিনি ঐ সরকারকে মেনে নেবেন না।অধিকাংশ পশ্চিম পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ও ইসলামি রাজনৈতিক দলগুলো শেখ মুজিবুর রহমানের আসন্ন প্রধানমন্ত্রিত্ব লাভের প্রবল বিরোধিতা করেন। জুলফিকার আলি ভুট্টো গৃহযুদ্ধের ভয়ে শেখ মুজিব ও তার ঘনিষ্ঠজনদেরকে নিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য একটি গোপন বার্তা পাঠান। পাকিস্তান পিপলস পার্টির মুবাশির হাসান শেখ মুজিবকে ভুট্টোর সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠনে প্ররোচনা দেন; যেখানে শেখ মুজিব হবেন প্রধানমন্ত্রী এবং ভুট্টো থাকবেন রাষ্ট্রপতি। সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের অগোচরে সম্পূর্ণ গোপনে এই আলোচনা সভাটি পরিচালিত হয়। একইসময়ে, ভুট্টো আসন্ন সরকার গঠনকে বানচাল করার জন্য ইয়াহিয়া খানের উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। আসলে তাদের মূল সমস্যাটা ছিল বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনে জয় এবং তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর। এটা মানতে তারা নারাজ ছিল কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আবার বঙ্গবন্ধুকে সরাতেও পারছিল না।


আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সামরিক শাসকগোষ্ঠী দলটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিলম্ব করতে শুরু করে। প্রকৃতপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য ছিল, যে-কোনভাবে ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানি রাজনীতিবিদদের হাতে কুক্ষিগত করে রাখা। এরূপ পরিস্থিতিতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি জেনারেল ইয়াহিয়া খান ৩রা মার্চ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। কিন্তু তিনি ১লা মার্চ উক্ত অধিবেশনটি অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন।


ফলে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা বুঝতে পারে যে, মুজিবের দলকে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে দেয়া হবে না। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ২রা মার্চ ঢাকায় এবং ৩রা মার্চ সারাদেশে একযোগে হরতাল পালিত হয়। তিনি ৩রা মার্চ পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিশাল জনসভায় সমগ্র পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ৬ই মার্চ এক বেতার ভাষণে ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে সকল প্রকার দোষ তার উপর চাপিয়ে দেয়ার প্রয়াস চালান। এ ধরনের ঘোলাটে পরিস্থিতিতেই ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভার আয়োজন করা হয় এবং বিপুলসংখ্যক লোক জমায়েত হয়। সমগ্র জাতির উদ্দেশ্যে শেখ মুজিবুর রহমান তার ৭ই মার্চের অনবদ্য, অতুলনীয় ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।


২৬.


একাত্তরের ভয়াল দুর্বিষহ দিনে ফিরে তাকানোর আগে একটু অন্য প্রসঙ্গে ঘুরে আসি আমরা। এই প্রসঙ্গগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং জানা প্রয়োজনীয়।


২ বৎসরের ছেলেটা এসে বলে, 'আব্বা বালি চলো।' কি উত্তর ওকে আমি দিব। ওকে ভোলাতে চেষ্টা করলাম। ওতো বোঝে না আমি কারাবন্দি। ওকে বললাম, "তোমার মার বাড়ি তুমি যাও। আমি আমার বাড়ি থাকি। আবার আমাকে দেখতে এসো।' ও কি বুঝতে চায়! কি করে নিয়ে যাবে এই ছোট্ট ছেলেটা, ওর দুর্বল হাত দিয়ে মুক্ত করে এই পাষাণ প্রাচীর থেকে!


দুঃখ আমার লেগেছে। শত হলেও আমিতো মানুষ আর ওর জন্মদাতা। অন্য ছেলেমেয়েরা বুঝতে শিখেছে। কিন্তু রাসেল এখনও বুঝতে শিখে নাই। তাই মাঝে মাঝে আমাকে নিয়ে যেতে চায় বাড়িতে।'


এই কথাগুলো বঙ্গবন্ধুর নিজের বয়ান থেকে নেওয়া। পড়লে বুকের ভেতরে হু হু করে ওঠে, অজান্তেই চোখ ভিজে যায় জলে! সন্তানের প্রতি কী ভীষণ আকুতি তাঁর। অথচ নিয়তির কী নির্মম পরিহাস! সন্তান চাইলেও তাকে দেখতে পায় না, কাছে পায় না, পায় না বাবার আদর-স্নেহ। তিনিও চাইলেও সন্তানের কাছে যেতে পারেন না, পারেন না সন্তানকে বুকে টেনে নিতে। সন্তানদের দায়িত্ব একপ্রকার স্ত্রীর কাছে দিয়েই বুকে পাথর বেঁধে দেশের সেবা করেছেন বঙ্গবন্ধু। স্ত্রীর কাছে লেখা তাঁর একটি পত্র পড়লে বাস্তবতাটা আরও স্পষ্ট বোঝা যায়,


(বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে লেখা বঙ্গবন্ধুর চিঠি)


রেনু,
আমার ভালবাসা নিও। ঈদের পরে আমার সাথে দেখা করতে এসেছো ছেলেমেয়েদের নিয়ে আস নাই। কারণ তুমি ঈদ করো নাই। ছেলেমেয়েরাও করে নাই। খুবই অন্যায় করেছো। ছেলেমেয়েরা ঈদে একটু আনন্দ করতে চায়। কারণ সকলেই করে। তুমি বুঝতে পারো ওরা কত দুঃখ পেয়েছে। আব্বা ও মা শুনলে খুবই রাগ করবেন। আগামী দেখার সময় ওদের সকলকে নিয়ে আসিও। কেন যে চিন্তা করো বুঝি না। আমার কবে মুক্তি হবে তার কোন ঠিক নাই। তোমার একমাত্র কাজ হবে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শিখানো। টাকার দরকার হলে আব্বাকে লেখিও কিছু কিছু মাসে মাসে দিতে পারবেন। হাছিনাকে মন দিয়ে পড়তে বলিও। কামালের স্বাস্থ্য মোটেই ভাল হচ্ছে না। ওকে নিয়ম মতো খেতে বলিও। জামাল যেন মন দিয়ে পড়ে আর ছবি আঁকে। এবার একটা ছবি এঁকে যেন নিয়ে আসে আমি দেখব। রেহানা খুব দুষ্ট ওকে কিছুদিন পরে স্কুলে দিয়ে দিও জামালের সাথে। যদি সময় পাও নিজেও একটু লেখাপড়া করিও। একাকী থাকতে একটু কষ্ট প্রথম প্রথম হতো। এখন অভ্যাস হয়ে গেছে কোন চিন্তা নাই। বসে বসে বই পড়ি। তোমার শরীরের প্রতি যত্ন নিও।


ইতি-
তোমার মুজিব


এই চিঠিটা পড়লে খুব পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, বঙ্গবন্ধু সন্তানদের নিয়ে কতোটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু সন্তানদের কাছে নিজে থাকার সুযোগ তিনি পেতেন না। তাঁর তো ছিল শুধু বন্দিত্ব আর বন্দিত্ব। কখনো বিট্রিশ সরকার, কখনো পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়ে বিনা বিচারে দিনের পর দিন জেলে থেকেছেন। এমন অবস্থায়ও তাকে দাঁড়াতে হয়েছে যে, সন্তান তাকে বাবা হিসেবে চিনতে পারছে না! ঘটনাটা ১৯৫২ সালের পরবর্তী সময়ের। ভাষা আন্দোলন যাতে সুসংগঠিত হতে না পারে সেজন্য '৪৮ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুকে দীর্ঘদিন জেলে বন্দি রাখা হয়, ভাষার দাবিতে শেষপর্যন্ত অনশন করে তাঁর শরীর অত্যাধিক খারাপ হয়ে পড়েছিল। ঘরেই সম্পূর্ণ বিশ্রামের নির্দেশ দিলো ডাক্তার। একদিন সকালে বঙ্গমাতা আর তিনি বিছানায় বসে গল্প করছিলেন৷ শেখ হাসিনা ও শেখ কামাল পাশেই খেলাধুলা করছিলেন। শেখ হাসিনা মাঝে মাঝেই খেলা ফেলে বাবার কাছে আসছিলেন আর 'আব্বা' 'আব্বা' বলে ডাকছিলেন। শেখ কামাল তাকিয়ে দেখছিল। একসময় বলে উঠলো, "হাচু আপা, হাচু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা বলি। " বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা দুজনেই প্রথমে ছেলের এমন কথায় হেসে ফেললেন। পরে বঙ্গবন্ধু ছেলেকে কোলে নিয়ে বললেন, "আমি তো তোমারও আব্বা।" শেখ কামাল এমনিতে বাবার কাছে যেতে চাইতো না।


কিন্তু সেদিন বাবার আদরই তাঁর কাছে পরম কাঙ্খিত বস্তু হয়ে উঠেছিল। কয়েক মাসের বয়সী ছেলে শেখ কামালকে রেখে জেলে যেতে হয়েছিল তাকে, তারপর বিনা বিচারে দীর্ঘ সময় কারাভোগ। এই বেদনা কারো পক্ষে কি বোঝা সম্ভব। ছেলে বাবাকে চিনতে না পারলে এবং সেখানে বাবার কিছু করার না থাকলে সেই দুঃখ বাবার জন্য কতটা যে দুর্বিষহ তা কি আদৌ উপলব্ধি করা সম্ভব? আবার ছেলে বাবাকে সাথে নিয়ে যেতে চাইছে। না ছেলে নিয়ে যেতে পারছে না বাবা যেতে পারছে! এ যে কী নির্মম বাস্তবতা! এ যে অসহনীয় বেদনা! এই বেদনাভার বহন করা সত্যিই কষ্টকর। বেদনাভার বহন তো দূরে থাক, উপলদ্ধিও দূরে থাক, নূন্যতম অনুভব করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়।


এজন্যই মাঝে মাঝে কিছু ঘৃণ্য নিকৃষ্ট মনে এই প্রশ্নের উদয় হয় যে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের সময়কালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো জেলেই কাটিয়েছেন। তিনি কী এমন করেছেন দেশের জন্য? আমাদের খুবই দুর্ভাগ্য যে এই প্রশ্ন এখনো মানুষ করতে পারে এবং আমাদের শুনতে হয়। তাকে বারবার বন্দি করে, বিনা বিচারে বন্দি রেখে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামকে যে স্তিমিত করার অপপ্রচেষ্টা চালোনা হয়েছে সেই নির্মম সত্যকে বোঝার মতো নূন্যতম জ্ঞান যদি বাঙালির থাকতো তাহলে আজ এই বাংলাদেশটা উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়িয়ে থাকতো, হয়ে উঠতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ!


তাকে যদি জীবনের এতো দীর্ঘ সময় জেলে না থাকতে হতো, তাহলে বাংলা ভাষার অধিকারের জন্য এতো দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো না, এতো মা-বোনকে সম্ভ্রম হারাতে হতো না বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য, শত লক্ষ সন্তানের রক্তের উপর বাংলাদেশকে দাঁড়াতে হতো না, বুদ্ধিজীবীদের মগজ কেড়ে ওরা বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দিতে পারতো না।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com