বাগান করার খুব শখ? বাগান করলে শুধু মনের নয়, স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মনোবিদেরা বলেন, নিয়ম করে গাছপালার পরিচর্যা করতে পারলে নাকি অবসাদ খুব একটা ধারকাছে ঘেঁষবে না। সবুজের সান্নিধ্য মনের চাপও কমাবে।
বাগান করার উপকারিতা যেমন অনেক, তেমনই সাবধানে না চললে কয়েক রকম অসুখবিসুখ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এখন অনেকে ভাববেন, বাগান করলে আবার কী অসুখ হবে!
আসলে অজান্তেই কিছু ভুল কমবেশি অনেকে করেন। আর সেখান থেকেই ছড়াতে পারে নানা সংক্রামক রোগ। সেগুলি কী কী জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন।
টিটেনাস
মাটি থেকে টিটেনাস রোগ খুব দ্রুত ছড়ায়। মাটিতেই বসবাস করে ক্লস্ট্রিডিয়াম টিটেনি নামক এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া যা মানুষের শরীরে ঢুকলে সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের উপর হামলা করে। অনেক সময়েই মানুষের ধারণা হয় যে লোহায় কেটে গেলেই কারও টিটেনাস হতে পারে। সব ক্ষেত্রেই যে টিটেনাস হবে তা নয়। বরং অপরিষ্কার মাটি, বিষ্ঠায় এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বেশি জন্মায়। বাগানের মাটি কোপাতে গিয়ে যদি হাত কেটে যায় বা হাতে লেগে থাকা মাটি কোনও ভাবে পেটে যায়, তা হলেই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এই ব্যাক্টেরিয়া এমন এক টক্সিন নির্গত করে, যা শরীরে মাংসপেশিগুলিকে শক্ত করে দেয়। ফলে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, চোয়াল আটকে যায়। খিঁচুনিও হতে পারে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে।
সাবধান থাকতে কী করবেন?
মাটি কোপানোর সময়ে হাতে গ্লাভস পরতেই হবে। খালি হাতে কখনও মাটি বা সার ধরবেন না। কোথাও কেটে গেলে বা গভীর ক্ষত হলে সঙ্গে-সঙ্গে ধুয়ে ফেলা উচিত, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। প্রয়োজনে সেটা ড্রেসিং করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করা যেতে পারে। তার সঙ্গে টিটেনাস টক্সয়েড ইঞ্জেকশন নেওয়া উচিত।
লেপ্টোস্পাইরোসিস
লেপ্টোস্পাইরা ইন্টেরোগ্যানস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকেই ছড়ায় এই রোগ। কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মল-মূত্র থেকে মূলত ছড়ায় এই রোগ। ভেজা মাটিতে এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বেশি জন্মায়। শরীরে ঢুকলে জ্বর, গা-হাত পায়ে ব্যথা, খিঁচুনি, প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। অনেক সময়ে এই রোগে সারা শরীরে লালচে-বাদামি র্যাশ বেরিয়ে যায়। পেটের গোলমাল, ডায়েরিয়াও হতে পারে।
সাবধান থাকতে কী করবেন?
খালি পায়ে বাগানে যাবেন না। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে আরও বেশি সাবধান থাকতে হবে। গাছপালার গোড়ায় জমা জল বা বাগানের মাটিতে জমে থাকা জলেও এই ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই ওয়াটারপ্রুফ বুট পায়ে থাকলেই বেশি ভাল হয়। হাতে গ্লাভস পরতেই হবে। বাগানে পচা পাতা বা আবর্জনা জমতে দেবেন না।
পয়জন আইভি
এক ধরনের লতানে গাছ যা অনেক বাগানেই জন্মায়। এই গাছ চিনতে না পারলেই মুশকিল। গাছের পাতা হাতে লাগলেই মারাত্মক চুলকানি শুরু হবে। সেখান থেকে ‘কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’ নামে ত্বকের রোগও হতে পারে। পাতার বিষ শরীরের যেখানে লাগবে সেখানেই র্যাশ, ফুস্কুড়ি হবে। প্রচণ্ড জ্বালা ও প্রদাহ হতে থাকবে। সংক্রমণ সারা শরীরেও ছড়াতে পারে।
সাবধান থাকতে কী করবেন?
পয়জন আইভি গাছ চিনতে হবে। তিনটে করে পাতা একসঙ্গে থাকে। মাঝেরটি বড়। পাতার ধারগুলি খাঁজ কাটা। সাদা-সবুজ ফুলও হয় এই গাছে। পয়জন আইভি দেখলে সেটি খালি হাতে ধরবেন না। গাছপালা পরিষ্কারের সময়ে কনুই অবধি লম্বা গ্লাভস ও পায়ে জুতো পরতে হবে। কোনও কারণে হাতে বা পায়ে লেগে চুলকানি শুরু হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বাগান করার সময়ে সতর্ক না হলেই হবে রোগ!
বাগান করার খুব শখ? বাগান করলে শুধু মনের নয়, স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
মনোবিদেরা বলেন, নিয়ম করে গাছপালার পরিচর্যা করতে পারলে নাকি অবসাদ খুব একটা ধারকাছে ঘেঁষবে না। সবুজের সান্নিধ্য মনের চাপও কমাবে।
বাগান করার উপকারিতা যেমন অনেক, তেমনই সাবধানে না চললে কয়েক রকম অসুখবিসুখ হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। এখন অনেকে ভাববেন, বাগান করলে আবার কী অসুখ হবে!
আসলে অজান্তেই কিছু ভুল কমবেশি অনেকে করেন। আর সেখান থেকেই ছড়াতে পারে নানা সংক্রামক রোগ। সেগুলি কী কী জেনে নিয়ে সতর্ক থাকুন।
টিটেনাস
মাটি থেকে টিটেনাস রোগ খুব দ্রুত ছড়ায়। মাটিতেই বসবাস করে ক্লস্ট্রিডিয়াম টিটেনি নামক এক ধরনের ব্যাক্টেরিয়া যা মানুষের শরীরে ঢুকলে সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের উপর হামলা করে। অনেক সময়েই মানুষের ধারণা হয় যে লোহায় কেটে গেলেই কারও টিটেনাস হতে পারে। সব ক্ষেত্রেই যে টিটেনাস হবে তা নয়। বরং অপরিষ্কার মাটি, বিষ্ঠায় এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বেশি জন্মায়। বাগানের মাটি কোপাতে গিয়ে যদি হাত কেটে যায় বা হাতে লেগে থাকা মাটি কোনও ভাবে পেটে যায়, তা হলেই ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। এই ব্যাক্টেরিয়া এমন এক টক্সিন নির্গত করে, যা শরীরে মাংসপেশিগুলিকে শক্ত করে দেয়। ফলে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়, চোয়াল আটকে যায়। খিঁচুনিও হতে পারে। শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যাও হতে পারে।
সাবধান থাকতে কী করবেন?
মাটি কোপানোর সময়ে হাতে গ্লাভস পরতেই হবে। খালি হাতে কখনও মাটি বা সার ধরবেন না। কোথাও কেটে গেলে বা গভীর ক্ষত হলে সঙ্গে-সঙ্গে ধুয়ে ফেলা উচিত, যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়। প্রয়োজনে সেটা ড্রেসিং করতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করা যেতে পারে। তার সঙ্গে টিটেনাস টক্সয়েড ইঞ্জেকশন নেওয়া উচিত।
লেপ্টোস্পাইরোসিস
লেপ্টোস্পাইরা ইন্টেরোগ্যানস ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকেই ছড়ায় এই রোগ। কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর মল-মূত্র থেকে মূলত ছড়ায় এই রোগ। ভেজা মাটিতে এই ধরনের ব্যাক্টেরিয়া বেশি জন্মায়। শরীরে ঢুকলে জ্বর, গা-হাত পায়ে ব্যথা, খিঁচুনি, প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা হতে পারে। অনেক সময়ে এই রোগে সারা শরীরে লালচে-বাদামি র্যাশ বেরিয়ে যায়। পেটের গোলমাল, ডায়েরিয়াও হতে পারে।
সাবধান থাকতে কী করবেন?
খালি পায়ে বাগানে যাবেন না। বিশেষ করে বর্ষার সময়ে আরও বেশি সাবধান থাকতে হবে। গাছপালার গোড়ায় জমা জল বা বাগানের মাটিতে জমে থাকা জলেও এই ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতে পারে। তাই ওয়াটারপ্রুফ বুট পায়ে থাকলেই বেশি ভাল হয়। হাতে গ্লাভস পরতেই হবে। বাগানে পচা পাতা বা আবর্জনা জমতে দেবেন না।
পয়জন আইভি
এক ধরনের লতানে গাছ যা অনেক বাগানেই জন্মায়। এই গাছ চিনতে না পারলেই মুশকিল। গাছের পাতা হাতে লাগলেই মারাত্মক চুলকানি শুরু হবে। সেখান থেকে ‘কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস’ নামে ত্বকের রোগও হতে পারে। পাতার বিষ শরীরের যেখানে লাগবে সেখানেই র্যাশ, ফুস্কুড়ি হবে। প্রচণ্ড জ্বালা ও প্রদাহ হতে থাকবে। সংক্রমণ সারা শরীরেও ছড়াতে পারে।
সাবধান থাকতে কী করবেন?
পয়জন আইভি গাছ চিনতে হবে। তিনটে করে পাতা একসঙ্গে থাকে। মাঝেরটি বড়। পাতার ধারগুলি খাঁজ কাটা। সাদা-সবুজ ফুলও হয় এই গাছে। পয়জন আইভি দেখলে সেটি খালি হাতে ধরবেন না। গাছপালা পরিষ্কারের সময়ে কনুই অবধি লম্বা গ্লাভস ও পায়ে জুতো পরতে হবে। কোনও কারণে হাতে বা পায়ে লেগে চুলকানি শুরু হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]