
ডায়রিয়া ও কলেরা সংক্রমণ প্রতিরোধে সপ্তাহব্যাপী সরকারের টিকা দান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে আজ। আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত প্রথম ডোজের এই টিকা কর্মসূচি চলবে। মুখে খাওয়ার এই টিকা গর্ভবতী নারী ছাড়া এক বছর বয়স হতে সব বয়সের মানুষকে দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ (সিডিসি) সূত্র একথা জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, জাতীয় কলেরা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা শহরের যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণখানে এই কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এসব টিকা ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর’বি)।
এরই মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমে প্রাথমিকভাবে শহরের পাঁচটি স্থানের প্রায় ২৩ লাখ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক চিঠিতে বলা হয়, আজ দুপুর ২ টায় আইসিডিডিআর,বি’র সাসাকাওয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এছাড়াও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু: আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, আইসিডিডিআর, বি’র নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিনা আহমেদ বক্তব্য রাখবেন।
গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে হয় মন্ত্রিসভা বৈঠক। বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সম্প্রতি রাজধানীতে ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ডব্লিউএইচও ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। এটার দুটো ডোজ নিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে সেফ থাকা যাবে।'
তিনি বলেন, ‘আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, ডিজি হেলথ তারপর ওয়াসা, তাদের সঙ্গে আমি পার্সোনালি কথা বলেছি। মেইনলি আমরা যেটা দেখলাম, ঢাকায় গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম ডায়রিয়ার প্রকোপ বোধহয় দেখা যায়নি। এটা মেইনলি হতো ডাউনে (দক্ষিণাঞ্চল) যখন ড্রাই সিজনে ডায়রিয়া হতো। এখানেও হয়েছে, এর কয়েকটি কারণ আমরা ফাইন্ড আউট করেছি। বিষয়গুলো কেবিনেটেও আলোচনা হয়েছে। আমরা চেক করে দেখলাম, ওয়াসা যে পানি দেয়, সোর্সে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। কোনো সোর্সেই ব্যাকটেরিয়া নেই।’
একই বৈঠকে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পানিটা যে নিয়ে আসছে অনেক জায়গায় লিক আছে, আবার অনেক জায়গায় তো এখন হাইরাইজ হয়ে যাচ্ছে। ওয়াসার লাইন বা সুয়ারেজ লাইন, উদাহরণ হিসেবে যদি ধানমন্ডি এলাকার কথা বলেন, ওটা তো একটা ইন্ডিভিজুয়াল বাসার জন্য ছিল। এখন এখানে বড় বড় অ্যাপার্টমেন্ট হয়ে গেছে। ন্যাচারালি পানির ডিমান্ড বা সুয়ারেজ লাইনের ক্যাপাসিটিতে, যেখানে নতুন করে লাইন লে ডাউন না করা হয়েছে সেখানে অসুবিধা হচ্ছে। এখন মানুষ কী করছে, ওই জায়গায় নিজেরা কেটে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নিয়ে আসছে। এখন যেখানে বসাচ্ছে সেখানে তো লিক থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এটা অন্যতম একটা রিজন।’
আজ ২৬ জুন শুরু হয়ে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত প্রথম ডোজের এই টিকা কর্মসূচি চলবে। মুখে খাওয়ার এই টিকা গর্ভবতী নারীরা দিতে পারবে না। এছাড়াএক বছর বয়স হতে সব বয়সের মানুষকে দেওয়া হবে।
সূত্র: বাসস
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]