সাক্ষাতকার
বুটেক্স একটা ব্র্যান্ড, এটাকে ওয়ার্ল্ডওয়াইড করাই লক্ষ্য: ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩, ১৫:২৪
বুটেক্স একটা ব্র্যান্ড, এটাকে ওয়ার্ল্ডওয়াইড করাই লক্ষ্য: ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

বংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) এর উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান (বেলাল) সিটেক্সট, এফটিআই । গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।


এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে রুটিন উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল । তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ফ্যাকাল্টি অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া প্রগতিশীল শিক্ষক পরিষদ কর্তৃক মনোনীত বুটেক্স শিক্ষক সমিতির সভাপতি। এছাড়া দায়িত্ব পালন করছেন বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি হিসেবে।


বঙ্গবন্ধু ফেলো এর গ্রেড -১ অধ্যাপক বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টার থেকে পিএইচডি করেন টেক্সটাইল সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ এর মাধ্যমে তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব (ইউমিস্ট) থেকে এমফিল করেন টেক্সটাইল সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে।


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান বেলজিয়াম সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বৃত্তির মাধ্যমে ইউনিভার্সিটি অব যেন্ট থেকে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে এমএসসি ও ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেক্সটাইল টেকনোলজিতে বিএসসি করেন। এছাড়া শিক্ষাজীবনে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধায় স্বাক্ষর রেখেছিলেন তিনি।


বরেণ্য এই অধ্যাপক নিজের উজ্জ্বল শিক্ষাজীবনের পর বংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের পেশাগত জীবনেও বিভিন্ন একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন।


বঙ্গবন্ধু ফেলোর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এই অধ্যাপকের প্যাটেন্ট, পাবলিকেশনসহ অসংখ্য বই রয়েছে। শুধু তাই নয়, ঢাকাই মসলিন পুনরুদ্ধার করেছে যে গবেষক দল, তিনি তাদের একজন। ব্যক্তিগত জীবনে নানা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অনেক প্রেস্টিজিয়াস অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছেন ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান।


বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এই অধ্যাপক সম্প্রতি বিবার্তা ২৪ ডটনেটের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় মুখোমুখি হয়েছেন। আলাপে তিনি বুটেক্স নিয়ে জানিয়েছেন তাঁর স্বপ্নের কথা । সাক্ষাৎকারে যুক্ত ছিলেন বিবার্তা প্রতিবেদক মহিউদ্দিন রাসেল।



বিবার্তা: আপনি বুটেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদ ছাড়া এর আগে সব পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এবার উপাচার্য পদে আপনার অনুভূতি কেমন?


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান: প্রথমেই আমি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি বাঙালির মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে। স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতিত মা বোনদের। আমি স্মরণ করছি ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের শিকার সকল শহিদদের। একই সাথে আমি সশ্রদ্ধ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী সর্বোপরি আমাদের শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি, তারা আমাকে যে গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তাতে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আর অনুভূতির কথা যদি বলি, এ বিষয়ে অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো। তবে আমার মনে হচ্ছে এটা একটা গুরু দায়িত্ব। আর এই গুরু দায়িত্ব দেওয়ায় একদিকে যেমন আমার আনন্দের অনুভূতি আছে, তেমনি বিরাট দায়িত্ব পালনের চাপও আছে। কাজেই আমাকে যে উদ্দেশ্যে নিয়ে কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব দিয়েছে সেটা যেন আমি পালন করতে পারি। আল্লাহ পাক যেন আমাকে এই সামর্থ্য দেন। সর্বোপরি, এই দায়িত্ব পালনে আমি সবার সহযোগিতা চাই।


বিবার্তা: আপনার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সহকর্মীদের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করেন?


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান: দেখুন- আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে যেটা সেটা হলো এখানে আমার সম্মানিত টিচার,কলিগ, শিক্ষার্থীসহ যারা আছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশ আমার ছাত্র। আমি উনাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে যে আকাঙক্ষা ও অনুভূতি দেখেছি সেটা আসলেই আমাকে অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছে। এখন আমি শুধু এটাই মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করতেছি তাদের চাহিদাকে যেন পূরণ করতে পারি। এখন এটাই আমার প্রধান টার্গেট। তাছাড়া আমি মনে করি বুটেক্স আমার ইউনিভার্সিটি, আমাদের ইউনিভার্সিটি। কারণ আমি এখান থেকে আমি পাস করে গিয়েছি। ক্লাস রুমের বেঞ্চ থেকে আজকে আমি উপাচার্যের চেয়ারে।


আগামী ২৫ জুলাই আমার শিক্ষকতার জীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হবে । ১৯৮৬ সালের ২৪ শে অক্টোবর ছাত্র হিসেবে আমি এই ক্যাম্পাসে পা দিয়েছি। এই হিসেবে আমি বলবো যে, এটা আমারই ক্যাম্পাস। কাজেই আমার ক্যাম্পাস তথা ঘরকে কিভাবে সুন্দর করা যায়, কিভাবে পরিচ্ছন্ন করা যায় এটা কিন্তু আমার বড় একটা দায়িত্ব।


বিবার্তা: প্রশাসনিক শীর্ষ পদের এই দায়িত্ব পালন করাকে কতটা চ্যালেঞ্জের মনে করছেন?


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান: আমি এখানে এরআগে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। আর সত্যি কথা বলতেই প্রশাসনিক এই দায়িত্বগুলো পালন করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যেহেতু এসব কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে দেওয়ার সুযোগ থাকে, সেহেতু এটাতে সবচেয়ে আনন্দ পেতাম। আমি এখানে জয়েন করি ১৯৯৩ সালের ২৫শে জুলাই। জয়েন করার পরে আমার তদানীন্তন যে স্যাররা ছিলেন অর্থাৎ পর পর যে তিনজন ভিসি ছিলেন উনারা কলেজে খুবই কার্যকর ভূমিকা রেখেছেন। এক পর্যায়ে আমাকে আজিজ হলে সহকারী সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তখন মেইনলি একটা হলই ছিল, আজিজ হল। আরেকটা ১০ রুম নিয়ে ছিল ওসমানী, ঐটাকে হল হিসেবে তেমন দেখা হতো না। কাজ করার সুবাদে কয়েক মাসের মাথায় আমি এডমিনিস্ট্রেটিভ মেম্বারের সদস্য হয়ে গেলাম। আর এটা তখনকার কলেজের সর্বোচ্চ বডি। শুরু থেকে ভর্তি পরীক্ষা, ভর্তি কার্যক্রম, প্রশাসনিক কাজ, হলের কাজসহ সার্বিক বিষয়ে সবসময় জড়িত থাকতাম। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে আমি যখন দেশে ব্যাক করলাম এরপর থেকে ২০০৮ সালে যাওয়ার আগ পর্যন্ত একটানা ৬/৭ বছর হলের প্রভোস্ট হিসেবে কাজ করেছি। এ হিসেবে আমার হলের অভিজ্ঞতা খুব বেশি। মাঝখানে কলেজে থাকা অবস্থায় হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্টের দায়িত্ব পালন করেছি।


আর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখিও হয়েছি। কিন্তু আমার একটা দৃঢ়তা ছিল। আমি যখন ৫/৬ বছর হলের সুপার হিসেবে ছিলাম তখন আমার সাহস ছিল আমার তদানীন্তন প্রশাসন। নিতাই স্যার ছিলেন, কাশেম স্যার ছিলেন, উনারা শতভাগ সাপোর্ট আমাকে দিয়ে গেছেন। আমি হলে একচেটিয়াভাবে আমার মতো করে প্রশাসন চালিয়েছি। কোন সমস্যা হয়নি। আমার উপর বিশ্বাস রেখে বলা হতো, তোমারটা তুমি করো। এসব দায়িত্ব পালনকালে শিক্ষার্থীদের সুবিধা ছাড়া অন্যদিকে আমি চিন্তা করি নাই। অনেক সময় হলের টাকায় আমি হলের উন্নয়নে কাজ করলে অনেকে নানা কথা বলতো। এখনো গেটের টাইলস, ওসমানী, আজিজ হলের টাইলস আমার লাগানো, আমার আমলের। এখানের বাস্কেটবলের কোর্ট করা আমার আমলের। আমি হল থেকে যতটুকু পারতাম এসব ব্যাপারে খরচ করতাম। এমনটি চেয়ার টেবিল পর্যন্ত আমি হলে বানিয়েছি। তখনকার ছাত্রনেতারাও আমার এসব কাজে বাধা দেয়নি। বরং তারা আমাকে উৎসাহ দিয়েছে। যার জন্য আমি এগুলো করতে পারছি।


মাঝখানে আমি রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেছি প্রায় ২ বছর। ডিন হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতেছিলাম। এরআগে হেড অব দ্যা ডিপার্টমেন্ট হিসেবে দুইটা মেয়াদ আমার হয়েছে। একাধারে প্রক্টর, স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর, অধিভুক্ত কলেজের ইনস্পেক্টর হিসেবে কাজ করেছি। এমন কোন প্রশাসনিক পদ নেই, যেখানে আমার পদচারণা ছিল না। মাঝখানে স্যার একবার বাহিরে যেতে চেয়েছিলেন তখন মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি ইস্যু করে আমাকে পুরো দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। পরে স্যার না যাওয়ায় এ দায়িত্ব আর আসেনি। মোটকথা, প্রশাসনিক একমাত্র ভিসি পদ ছাড়া আর বাকী সব পদে আমি আল্লাহর রহমতে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। এবার আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে উপাচার্য পদেও আমি দায়িত্ব পেয়েছি। কাজেই সফলতার সাথে এই দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই। এরমধ্যে অনেক বাধা আছে, আর বাধা থাকবে। এটা আমি জানি। এটা একটা প্রক্রিয়া। কিন্তু এক্ষেত্রে আমি চাইবো সকলকে এই আহ্বান জানাতে ভুলত্রুটি তো থাকবেই। এক্ষেত্রে তারা যেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখে আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি সবার সহযোগিতা আশা করি।


বিবার্তা: দায়িত্ব পালনকালে আপনি বুটেক্সকে কোথায় দেখতে চান?


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান: আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানটাকে যেন ওই রকম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি - যেটা আসলেই এই প্রতিষ্ঠান ডিজার্ভ করে। আজকে এই প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১২ বছর হয়ে যাচ্ছে। কাজেই এটা নিয়ে অনেকের কথা। আমাদের অ্যালামনাইসহ ভেতর -বাহির থেকে অনেকের এই কথা যে, এখনো পর্যন্ত আমরা অনেক কিছু করতে পারি নাই। অনেক কিছু বাকী রয়েছে। এটা বাস্তব কথা। কিন্তু এই আপেক্ষগুলো যেন আল্লাহ পাক আমার মাধ্যমে পূরণ করান সেজন্য সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আর এটাই আমার বড় টার্গেট। সঠিক ওয়েতে সবাই আমাকে যেভাবে গাইড করবে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা ও সর্বোচ্চ সময় দিয়ে চেষ্টা করবো সেটাকে ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।


বিবার্তা: বুটেক্সের একাডেমিক কার্যক্রমসহ বিশেষ কোন স্বপ্ন আছে কিনা?


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান: আমাদের বিশেষ স্বপ্ন তো অবশ্যই আছে। সামনে আমাদের বড় দুইটা প্রজেক্ট আছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটা প্রজেক্ট আছে। তারপর বিশ্বব্যাংকের একটা প্রজেক্ট আছে। আসলে সত্যিই বলতে এটা ইউভার্সিটি হওয়ার পরে আমরা একটা বিল্ডিং ছাড়া আর তেমন কিছু পাইনি। এক্ষেত্রে আমাদের মডার্ন মেশিনপত্র দরকার। যার জন্য আমাদের প্রজেক্ট অনেক বেশি জরুরি। আমাদের ছোট্ট একটা ক্যাম্পাস, তেমন জায়গাও নেই। এগুলোর ব্যাপারেও আমাদের পরিকল্পনা আছে।


আর একাডেমিক সাইটে যেগুলো আছে সেগুলোর কোয়ালিটিও মেইনটেইন করা হবে। আসলেই বুটেক্স একটা ব্র্যান্ড, এটাকে আরও কিভাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড করা যায়, সেটাই আমার লক্ষ্য। ইতোপূর্বে আমাদের কলেজের যে ডিগ্রী ছিল অর্থাৎ যে বিএসসি ডিগ্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে দেওয়া হতো, সেটা দিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আছে যারা সরাসরি এটাকে কাজে লাগিয়ে পিএইচডি করেছে। এক্ষেত্রে তাদের মাস্টার্সও করা লাগে নাই। এ রকম অনেকেই আছেন। কাজেই বোঝা যায় আমাদের ডিগ্রীর মানটা কেমন ছিল। আমি নিজেও ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে থেকে ডিগ্রী নিয়েছি। এখন পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটিকে বলা যায় নাম্বার ওয়ান। এখানে আমি ডিগ্রী করেছি, ৬/৭ বছর পড়াশোনা করেছি। আমি নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে কমপেয়ার করার জন্য আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং মাস্টার্সে দুইটা ক্লাসই ফলো করেছি। এক্ষেত্রে আমার চিন্তাভাবনা ছিল আমরা আসলেই কোন লেভেলে আছি, তা যাচাই করা। তখন আমি উপলব্ধি করেছি আলহামদুলিল্লাহ আমাদের টিচার ও শিক্ষার্থীদের মান কোন অংশে কম নয়। আশা করি আমরাও পারবো। সবাই যদি আন্তরিক থাকি, তাহলে আমরা অবশ্যই পারবো। তখন আমরা এই প্রতিষ্ঠানটাকে ওয়ার্ল্ডওয়াইড করতে পারবো।


বিবার্তা: বিবার্তাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।


ড. শাহ্ আলিমুজ্জামান: আপনাকেও ধন্যবাদ।


বিবার্তা/ রাসেল/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com