
করোনা মহামারিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেভাবে ‘ভুলে গেছে’, তাতে রীতিমতো উদ্বেগ বোধ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, এই উদাসীনতা ও সচেতনতার অভাবে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সব নতুন ধরন আগমনের পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
শুক্রবার (২ জুলাই) সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘মহামারির জরুরি অবস্থা থেকে আমরা উত্তরণের পর্যায়ে আছি, কিন্তু এখনও আমরা তাতে সফল হইনি।’
‘করোনা টেস্ট ও টিকাদান কর্মসূচিতে বিরতি বা ধীরগতি এই ভাইরাসটির নতুন ধরনের আগমনের পরিবেশ তৈরি করছে এবং নতুন কোনো ধরনের আগমণ যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে সেটি আরও মারাত্মক ও প্রাণঘাতী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৬ জনের।
গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘করোনায় আক্রান্তদের একটি বড় অংশই মৃদু উপসর্গে ভোগেন। কিন্তু আমাদের এটা ভুললে চলবে না যে আমাদের চারপাশে এমন বহু মানুষ আছেন, যাদের জন্য এই রোগটি আক্ষরিক অর্থেই প্রাণঘাতী।’
বিবার্তা/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]