
ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত থাকায় তেহরান তার প্রতিবেশীদের সাথে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছে। এই প্রতিবেশীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আজারবাইজান, যাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তুরস্ক।
৩০ নভেম্বর, বুধবার ভয়েস অফ আমেরিকার বরাতে এমনটি জানা যায়।
সূত্র জানায়, তেহরান সম্প্রতি আজারবাইজানের সীমান্তে সামরিক মহড়া চালিয়েছে এবং ইরানের উল্লেখযোগ্য আজেরি সংখ্যালঘুদের উসকানি না দেওয়ার জন্য বাকুকে সতর্ক করেছে।
এদিকে, বাকুও ইরানের সীমান্তে সামরিক মহড়া চালিয়েছে। এছাড়া, আজারবাইজানের নিরাপত্তা বাহিনী চলতি মাসে ১৯ জনকে আটক করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ইরানের হয়ে গোয়েন্দাবৃ্ত্তির অভিযোগ এনেছে।
বাকু তুরস্কের সমর্থনেই এমনটি করছে দাবি করেছেন আঙ্কারা-ভিত্তিক ফরেন পলিসি ইনস্টিটিউটের প্রধান হুসেইন বাগসি।
বাগসি বলেন, তুরস্ক-আজারবাইজান পরস্পর ভাই ও বন্ধু। তাদের মধ্যে শুশা চুক্তি রয়েছে—যা বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। আজারবাইজান আক্রমণে বা বিপদে পড়লে তুরস্ক নিঃশর্তভাবে আজারবাইজানের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। ইরান তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে, কিন্তু তুরস্ক আজারবাইজানে ইরানের প্রভাব বন্ধ করতে বাধার মতো।
তবে, বন ইউনিভার্সিটির এই অঞ্চলের বিশেষজ্ঞ জাউর গাসিমভ বলেছেন, মহড়া ও হামলা তেহরানের একটি নিয়মতান্ত্রিক নীতির অংশ। সামরিক মহড়া শুধু উত্তরে আজারবাইজান প্রজাতন্ত্রের সীমান্তে নয়, ইরাক ও তুরস্কের সাথেও পরিচালিত হয়েছিল। ইরানের পররাষ্ট্রনীতি সীমান্তে সংঘাতের দিকে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বিতর্কের দিকে ইরানি জনগণের দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করছে।
বিবার্তা/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]