গত ৮ নভেম্বর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তিন মাস পূর্ণ করেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর গত তিন মাসে সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো কী কী কাজ করেছে তার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের গত তিন মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উল্লেখযোগ্য অর্জন ও কার্যক্রম নিচে তুলে ধরা হলো:
১. দেশে পেঁয়াজ ও আলুর বাজার মূল্য কমানোর লক্ষ্যে সরকার এস আর ও নম্বর ৩০৬ ও ৩০৭ মূলে যথাক্রমে আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে শুল্ক হ্রাস করেছে। আলুর ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার ৩৩% হতে ১৫% কমিয়েছে এবং পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ১০% হতে কমিয়ে ৫% করেছে, এর ফলে আলু ও পেঁয়াজের বাজারদর হ্রাস পেয়েছে।
২. সরকার কর্তৃক এস আর ও নম্বর ৩৫৫-আইন/২০২৪/২৬১-মূসক মূলে পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে তাদের উপর আরোপণীয় সমুদয় মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
৩. দেশে ভোজ্যতেলের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এস আর ও নম্বর ৩৫৬-আইন/২০২৪/২৬২-মূসক মূলে পরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ১৫% থেকে হ্রাস করে ১০% করা হয়েছে।
৪. দেশে ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক এস আর ও নম্বর ৩৫৯-আইন/২০২৪/৯১/কাস্টমস মূলে ডিমের আমদানির ক্ষেত্রে আরোপণীয় কাস্টমস ডিউটি ২৫% থেকে হ্রাস করে ৫% করেছে।
৫. নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবারাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
৬. ‘রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭’ গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে।
৭. ভোগ্যপণ্যের বাজার মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব মনিটরিং টিমের পাশাপাশি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেশব্যাপী ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করছে। উল্লেখ্য, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক আগস্ট ২০২৪ থেকে অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশে ৩,৩৫৩টি বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাজার অভিযানের মাধ্যমে ৬,৫৭৩টি প্রতিষ্ঠানকে দন্ডিত করা হয় এবং দন্ডিত প্রতিষ্ঠান হতে ৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৮. সমগ্র দেশের প্রায় ১ কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অভ্যন্তরীণ বাজারে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদি বিক্রয় কার্যক্রম জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। টিসিবির কার্ডধারী উপকারভোগী ২ কেজি মশুর ডাল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ও ২ লিটার ভোজ্যতেল বোতলজাত প্রতি লিটার ১০০ টাকা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের ৫ কেজি করে চাল প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান আছে।
৯. ১৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে গাজীপুরে ১,০০০ জন গার্মেন্টস শ্রমিকদের মাঝে ২ কেজি মশুর ডাল, ২ লিটার ভোজ্যতেল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত ৫ কেজি করে চাল পূর্ব নির্ধারিত ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
১০. ২৪ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হতে ঢাকা মহানগরীতে ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম ৩০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এ কার্যক্রমে জনপ্রতি ২ কেজি মসুর ডাল, ২ লিটার ভোজ্যতেল এবং খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত ৫ কেজি করে চাল বিক্রয় করা হচ্ছে।
সূত্র : বাসস
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]