ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছেই। ক্যাশ ডলারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে (বৈধ পথে) রেমিট্যান্স পাঠালেই আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনা ঘোষণার পর দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু তাতেও ডলারের বাজারে উত্তাপ কমেনি। বরং টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্যে নতুন রেকর্ড।
ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের ঘোষিত রেটে সহজে মিলছে না ক্যাশ ডলার। খোলা বাজারে ক্যাশ ডলার কিনতে ক্রেতাতের গুণতে হচ্ছে ১২৬ টাকা। যদিও মানি চেঞ্জারগুলো বলছে, তারা বিক্রি করছে ১১৫ টাকা দরে। আর কিনছে একশ সাড়ে ১৩ টাকা দরে।
খোলাবাজারে নগদ ডলারের দর একদিনেই সাড়ে ৪ টাকা বেড়ে আজ বিক্রি হচ্ছে ১২৬ টাকা ৫০ পয়সায়। গতকাল বুধবারও যা ছিল ১২২ থেকে ১২৩ টাকা।
এদিকে, বিভিন্ন ব্যাংক দাবি করছে, ক্যাশ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৩ টাকা ২৫ পয়সা দরে। আর ব্যাংক কিনছে ১১২ টাকা ২৫ পয়সায়। বাস্তবে চিত্র ভিন্ন। এ দরে ক্যাশ ডলার অনেকেই কিনতে পারছেন না।
অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জে ঘোষিত দামে ডলার না পাওয়ায় তারা বাড়তি দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ডলারের দাম নির্ধারণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করা করছে। চলতি অর্থবছরে ইতোমধ্যে প্রায় সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
ব্যাংকগুলো বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজ থেকে ১২২ টাকার বেশি দরে ডলার কেনার বিষয়টি জানাজানির পর খোলাবাজারেও নগদ ডলারের দর দ্রুত বাড়ছে। গত সপ্তাহেও প্রতি ডলার ১১৮ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ছিল।
ডলার সঙ্কটের এ সময়ে দর নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাফেদার মাধ্যমে দর ঠিক করে দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে এবিবি ও বাফেদার নির্ধারিত দর রয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর বিক্রির দর নির্ধারিত আছে ১১১ টাকা।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]