মারা গেলেন গীতিকার ও সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:১৬
মারা গেলেন গীতিকার ও সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন
বিনোদন ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

গীতিকার ও সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন (মহি আল ভাণ্ডারী) মারা গেছেন। রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


তাঁর নামাজে জানাজা বাদ জোহর কাতালগঞ্জ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টায় নেওয়া হয় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।


ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে দাফন হবে বলে জানিয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ও তাঁর ছাত্র আলাউদ্দিন তাহের।


সৈয়দ মহিউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ডিসি হিলে এক অনুষ্ঠানে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেদিন তিনি ক্রেস্ট ও সনদ নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে বাম হাত ও বাম পা ভেঙে ফেলেন। কাতালগঞ্জে আনিকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন ভাড়া করা একটি সেমিপাকা গৃহে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করেছেন। তিনি অকৃতদার।


সৈয়দ মহিউদ্দিন ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ আমির হোসেন এবং মাতা সৈয়দা আনোয়ারা বেগম। গানের মাধ্যমে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। গ্রামে বসবাসকালীন অধ্যক্ষ হেম মজুমদারের কাছে সংগীত চর্চা শুরু করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় ওস্তাদ সুরেন দাশের কাছে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীত তালিম নেন। দেশ হানাদার মুক্ত হলে গান রচনা ও সুর চর্চায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গীতিকার হিসাবে তালিকাভুক্ত হন। আধুনিক গান রচনার পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গান রচনায় হাত দেন।


সৈয়দ মহিউদ্দিন ১৯৭৮ সালে দৈনিক আমার বাংলা পত্রিকায় কাজ করার জন্য ঢাকায় চলে যান। তিনি দৈনিক আমার বাংলায় ঢাকায় ১ বছর কাজ করেন। এরপর ঢাকায় দেশের প্রথম সংগীত পত্রিকা মাসিক সংগীত- এর সাথে জড়িত হন। পত্রিকাটির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ৩ বছর।


তাঁর রচিত ও সুরারোপিত জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য চাটগাঁইয়া গান- ‘মেজ্যান দিয়ে মেজ্যান দিয়ে ঐতারত’, ‘সাম্পান মাঝি সাম্পান বায় আগর মতো পেসিঞ্জার ন পায়’, ‘অউডা কঅছে ভাইপুত ক্যেনে বলে ম্যাট্টিক পাশ গল্লি’, ‘আঁরা এই সংসারত মিলিমিশি আছি দুয়া জাল’, ‘গর্কি তুয়ান বন্যা খরা মহামারি ঘূর্ণিঝড়’, ‘তালাকনামা পাঠাই দিলাম চিঠির ভিতরে’, ‘আইচ কাইল ঢেঁইর ঘরত কম দেখা যায় ধান’, ‘আঁই কারে কইলাম কি তুঁই কি হুনিলা কি’, ‘আঁর বউয়রে আঁই হাসাইয়ম আঁই কাঁদাইয়ম’, ‘আঁর বাপর বাড়ি কধুরখীল হউরু বাড়ি গুজারা’, ‘আসকার ডিঁইর পুকপাড়ে আঁর ভাঙাচোরা ঘর’, ‘আহ্ হায় রে গরু টানের গরু গাড়ি’, ‘এই পোয়াছা আঁর বরই গাছত তোরা’, ‘কিল্লাই গেলি ঠিক ধুইজ্জ্যা ভাঙিবুল্যাই বোলার বাআ’, ‘তুঁই বন্ধু আঁর সুখ পিঞ্জরার ভাগ্যুর লটারি’, ‘থগ্যই থগ্যই রে তে আইস্যেল ভালা’, ‘পোয়ার মনত শান্তি নাই শান্তি নাই ভাত পানি ন খার’, ‘বউ আইনতু যার দুলা মিঞা গদুনাত চড়ি’, ‘বন্ধু ঘরর কামরা পুরাই দিলা চালানি পাঠাই’, ‘মন কাচারা মাঝি তোর সাম্পানত উইটতাম নঅ’ ও ‘অজেডা ফইরার বাপ’ প্রভৃতি।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com