৭ বছরেও এলটমেন্ট না হওয়া হলগুলোতে আসন বরাদ্দের আশ্বাস
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩০
৭ বছরেও এলটমেন্ট না হওয়া হলগুলোতে আসন বরাদ্দের আশ্বাস
চবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হলগুলোতে আসন বরাদ্দ নেই দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ। দফায় দফায় হল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েও তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ প্রশাসন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত সদ্য সহকারী প্রক্টর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ হলগুলোতে আসন বরাদ্দের ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন।


২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার সহকারী প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ আসন বরাদ্দ নেই। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা আসন বরাদ্দের বিষয়টা নিয়ে কাজ করব।


তিনি আরও বলেন, যেহেতু দীর্ঘদিন যাবৎ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ নেই তাই বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা আন্তর্জাতিক মানের র‍্যাংকে নিয়ে আসা যায় সেদিকেও নজর দিব।


জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৭ সালের জুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের মার্চে হলগুলোতে পুনরায় আসন বরাদ্দের বিজ্ঞপ্তি দেয় তৎকালীন উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর প্রশাসন। এতে আবেদন ফরম কেনেন প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তিন মাস পরে তৎকালীন উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হলে উপাচার্যের দায়িত্ব পান অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এরপর ৭ বছরে ৬ বার বরাদ্দ দেওয়ায় প্রক্রিয়া শুরু করা হলেও আসন বরাদ্দ দেয়া হয়নি।


সর্বশেষ গতবছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ২৪ সেপ্টেম্বর বহিরাগত ও অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইসময় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে অছাত্ররা হল ছাড়লে আসন বরাদ্দ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু সে উদ্যােগও কার্যকর করতে পারেনি প্রশাসন। একজন অছাত্রও হল ছাড়েনি।


বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৭ হাজার ৫৫০ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১৭ হাজার ৪ শত ৯৪ জন আর ছাত্রী ১০ হাজার ৪৬ জন। হল আছে ১৪টি। এগুলোর মধ্যে দুটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখনো শিক্ষার্থী উঠানো হয়নি। বাকি ১২টি হলের মধ্যে ৭টি ছাত্রদের, বাকি পাঁচটি ছাত্রীদের। এসব হলে মোট আসন ৬ হাজারের বেশি। যা মোট শিক্ষার্থীর মাত্র ১৯ শতাংশ।


বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, ছাত্র হলগুলোর মধ্যে আমানত হলে ৬৩২টি, শাহ আব্দুর রব হলে ৫০৯টি শাহজালাল হলে ৪৭৫টি, সোহরাওয়ার্দী হলে ৩৭৫টি, আলাওল হলে ২৬০টি, এ এফ রহমান হলে ২৫৭টি ও মাস্টারদা সূর্যসেন হলে ১৭৬টি আসন রয়েছে।


ছাত্রী হলগুলোর মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা হলে ৭৫০টি, প্রীতিলতা হলে ৫৩১ টি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হলে ৫০৮টি, শামসুন্নাহার হলে ৪৮১টি, মাস্টারদা সূর্যসেন হলে (আংশিক) ৩৯টি আসন রয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ২১ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিতে নতুন প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ওশানোগ্রাফি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. অহিদুল আলমকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল ৫ সহকারী প্রক্টরকে নিয়োগের মাধ্যমে প্রক্টরিয়াল বডির পূর্ণতা আনা হয়।


দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন সহকারী প্রক্টরবৃন্দ হলেন, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এনামুল হক, সংস্কৃত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. লিটন মিত্র, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনসুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত রহমান।


বিবার্তা/মহসিন/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com