শিরোনাম
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে দু'দেশের বৈঠক
প্রকাশ : ১৪ মে ২০১৯, ২৩:৪৬
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে দু'দেশের বৈঠক
শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া থেকে :
প্রিন্ট অ-অ+

প্রায় ৮ মাস বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রাজায়ায় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ-এর নেতৃত্বে বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন ইয়াসিন এবং মানবসম্পদ মন্ত্রী কুলাসেগারেনের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।


স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত টানা ২ ঘণ্টাব্যাপী জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ৩য় দফা এই বৈঠক দু’দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। মূলত মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের অচলাবস্থা কাটাতে এই যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।



বৈঠকে মালয়েশিয়া সরকারের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে বলে আশা ব্যক্ত করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বলেন, বাংলাদেশের জন্য শ্রম বাজার উন্মুক্তসহ প্রবাসীদের সকল সমস্যা সমাধানে মালয়েশিয়ার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এছাড়া অবৈধদের বৈধ করে নেয়া ছাড়াও যারা দেশে চলে যেতে চায় তাদের নামমাত্র ফি দিয়ে দেশে যাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।


সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় ১০ লাখের বেশি কর্মী কাজ করছে। গেল দেড় বছরে দেশটিতে এসেছে দুই লাখের মতো কর্মী। জি-টু-জি প্লাস পদ্ধতিতে এই কর্মী আসলেও গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ হয়ে যায় অনলাইন সিস্টেম এসপিপিএ।



বৈঠকে রাষ্ট্রদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহিন এবং উপ-সচিব আবুল হোসেন, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, প্রথম সচিব শ্রম মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডল, প্রথম সচিব তাহমিনা ইয়াছমিনসহ সেদেশের মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


উল্লেখ্য, ২০১২ সালে দুই দেশ সরকারি জি-টু-জি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় লোক পাঠাতে চুক্তি সই করে। বাংলাদেশে অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা ১ হাজার ১৭৯টি থাকলেও ২০১৬ সালের তা পরিমার্জন করে ১০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জি-টু-জি প্লাসের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরই সুযোগে ১০ রিক্রুটিং এজেন্সি পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে পরিনত হয় এবং ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। যার ফলে মালয়েশিয়ান সরকারের পটপরিবর্তনের সাথে সাথে দুর্নীতির অভিযোগে শ্রম বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়।



এর আগে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে দফায় দফায় আলাপ-আলোচনা চলে। ওই সময় মালয়েশিয়ার নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের জানিয়ে দেন, মালয়েশিয়ার নতুন সরকার কোনো সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করে না।


জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে কোনো বাংলাদেশি কর্মীকে ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগে ভিসা পাওয়া কর্মীরা সেপ্টেম্বরের পরও মালয়েশিয়া গেছেন। সব মিলিয়ে ২০১৮ সালে মালয়েশিয়ায় গেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন।


বিবার্তা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com