পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে রাজধানীজুড়ে চাপা আতঙ্ক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৯
পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে রাজধানীজুড়ে চাপা আতঙ্ক
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণ সরব হয়ে উঠেছে। দাবি দাওয়া নিয়ে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দেশের প্রধান বিরোদীদল বিএনপিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলের ডাকা সভা, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি ঘিরে চাপা আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ। তাই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোই ফাঁকা।


আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাজধানীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো কর্মসূচি ডাকায় রাজধানীতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। নিজ নিজ দলের নেতা কর্মীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মসূচি সফল করতে। কিন্তু পাল্টাপাল্টি এই কর্মসূচিতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে।


দুই দলের এ কর্মসূচি দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে দিয়েছে পরিবহন খাতে। যদি কোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা নাশকতা হয় তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তাই সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এই সেক্টর।


২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতার জের পরিবহন খাতে জ্বালাও পোড়াও যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তারই জেরে এখন সংশ্লিষ্টদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এজন্য সঙ্গত কারণেই আজকের (শুক্রবার) কর্মসূচি নিয়ে উৎকণ্ঠায় আছেন অনেকে।


দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী পরিবহন খাত। অথচ এই খাতের সঙ্গে দেশের পুরো অর্থনীতি সরাসরি সম্পৃক্ত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাস, মিনিবাস, লেগুনা, ট্রাক, কাভার্ডভ্যানসহ সবরকম যানবাহনে চলে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ।


সে সময় ধ্বংসাত্মক এ কর্মকাণ্ডে এ খাতের অনেকে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। ব্যাংক ঋণে, মানুষজনের কাছ থেকে ধারকর্জ করে কেনা যানবাহনের টাকা সুদসহ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই বাধ্য হন পরিবহন ব্যবসা গুটিয়ে নিতে। তৎকালের ধ্বংসাত্মক কাণ্ডে কোপানলে পড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলা হয়। আগুন দেওয়া হয় বাসে-ট্রেনে।


উপরন্তু, জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বর এবং তৎপরবর্তী সময়কালে রাজনীতির মাঠ চরম উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় রাজপথে সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো কাণ্ড ঘটতে পারে। আসছে দিনগুলোয় পরিবহনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত, ভীত ব্যবসায়ীরা।


শঙ্কিত সাধারণ যাত্রীরাও। এমন পরিস্থতি থেকে মুক্তি চান সাধারণ মানুষ। তাদের প্রত্যাশা যাতে দেশে আর রাজনৈতিক সহিংসতা না হয়।


পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জানান, আন্দোলনে প্রথমেই আঘাত আসে পরিবহনের ওপর। গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত পরিবহন কোনোটাই ছাড় পায় না। পরিবহনকর্মীরা খেটে খাওয়া মানুষ। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে। পরিবহন খাতেও নানা দল-মতের লোক রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুরো দেশের অর্থনীতি।


বিবার্তা/মাসুম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com