ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তামান্না খাতুন (২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত হত্যা বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের আনন্দনগর গ্রামে।

জানা যায়, ৭ বছর আগে আনন্দনগর গ্রামের মকছেদ শেখের ছেলে বকুল শেখের সাথে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সোনাদহ গ্রামের প্রবাসি নাসির শেখের মেয়ে তামান্না খাতুনের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের তানভীর নামে ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ছেলেকে নিয়ে তাদের সংসার ভালই চলছিল। গত ৬ মাস পূর্বে বকুল শেখ প্রথম স্ত্রী তামান্নার বিনা অনুমতিতে আবারো বিয়ে করে। ছোট বউকে নিয়ে বকুল ঢাকাতে বসবাস শুরু করে। সেই থেকেই তাদের সংসার জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়।

বকুল ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে রবিবার রাতে বড় স্ত্রী তামান্নার সাথে বাক বিতণ্ডা হয়।এর কিছুক্ষণ পর গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের মধ্যে ঝুলতে দেখে পরিবার ও আশপাশ এলাকার লোকজন তামান্নাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে নিহত তামান্নার বাবা দেশের বাইরে থাকায় সোনাদহ গ্রামের চাচাতো ভাই জামাল শেখ, চাচী সোনালী খাতুন ও মুন্নি খাতুন আনন্দনগর গ্রামে নিহত তামান্নার মৃতদেহ দেখতে আসে।

এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, তামান্না খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে ছিল।তার স্বামী বকুল স্ত্রী সস্তান রেখে বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসারে অশান্তির সৃষ্টি করে। বকুল ও তার বাড়ির লোকজন মিলে তামান্নাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। এখন ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।

রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই রবিউল ইসলাম জানান, নিহত গৃহবধূ তামান্নার মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে জানা যাবে এটা হত্যা, নাকি আত্মহত্যা? তবে বকুলের পরিবার পলাতক রয়েছে।তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বিবার্তা/কোরবান আলী/জাই