রাজশাহীর তানোরে ছেলেধরা সন্দেহে দুই যুবককে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী। শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে পর্যায়ক্রমে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বহাড়া ও কামারগাঁ ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (২১ জুলাই) সকালে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের বহাড়া গ্রামে সন্দেহজনকভাবে অজ্ঞাত যুবক লুৎফর (২৯) ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় ওই যুবকের অসংলগ্ন কথাবার্তায় স্থানীয়রা ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে ক্লাবঘরে বেঁধে রাখে। পরে র্যাব-৫ এ খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে র্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তানোর থানায় নিয়ে আসে।
জানা যায়, আটক লুৎফর মানসিক ভারসাম্যহীন শিক্ষিত যুবক। তার বাড়ি সাতিপাটি। বিকেলে কামারগাঁ ইউনিয়নের কচুয়া এলাকায় মনোয়ারুল (৩০) নামে এক ব্যক্তি স্থানীয় একজনের বাড়িতে গোপনে প্রবেশ করে। এ সময় ওই বাড়িতে একাধিক শিশু বাচ্চা ছিল। হঠাৎ বাড়ির ভেতরে অপরিচিত ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়। বাড়িতে প্রবেশের কারণ জিজ্ঞেস করলে সে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
এ সময় এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়া শুরু করে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বকুল হোসেনসহ কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে তানোর থানায় নিয়ে আসে।
আটক মনোয়ারুলের বাড়ি মোহনপুর উপজেলার টাঙ্গাইন কামারপাড়া গ্রামে। বাড়ির জিনিসপত্র চুরির উদ্দেশ্যে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে বলে জানায়। মনোয়ারুলকেও তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তানোর থানার ওসি খায়রুল ইসলাম বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন লুৎফর কী উদ্দেশ্যে তানোরের বহড়ায় গ্রামে এসেছে- তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কচুয়া থেকে আটক মনোয়ারুল নামের অপর ওই ব্যক্তি চিহ্নিত চোর। তার বিরুদ্ধে থানায় চুরির মামলা হয়েছে।
তবে দেশব্যাপী যে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে- তাতে কান না দিয়ে এবং আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি ওসি খায়রুল।
বিবার্তা/অসিম/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]