রহস্যময় এ আলো কোথা থেকে এলো, কেউ তা বলতে পারছেন না। তবে কেউ বলছেন হীরার খনি, কেউ বলছেন নাগ-নাগিনীর মাথার মণি। আবার কেউ বলছেন হাজার বছরের পুরনো কোনো রাজপ্রসাদ জেগে উঠেছে।
একটি পুকুরের মধ্যে জ্বলা এমন আলো দেখতে ভিড় করছেন হাজারো মানুষ।
ঘটনাটি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গনি মিয়ার সেন্টার এলাকার হাতেম আলী হাওলাদার বাড়ির পুকুরে। বৃস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত ১২টার পর থেকে ওই পুকুরের চারদিকে রয়েছে পুলিশ পাহারা।
বাড়ির মালিক মো. আল- আমিন বলেন, বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে বাড়ির গৃহবধূরা হাতমুখ ধুতে গেলে পুকুরের মাঝখানে একটি গোলাকার আলো দেখতে পায়। রাতে ঘটনাটি খুলে বললে তারা বিষয়টি গুরুত্ব দেননি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আলো আরও বেড়ে যায় এবং পুকুরের কিনারায় চলে আসে। তখন সবার চোখে পড়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আনিস হাওলাদার বলেন, আমার স্ত্রী মঙ্গলবার রাতে পুকুরে মাছ ধুতে গেলে সে আলো দেখে আমাকে বলে। কিন্তু আমি গুরুত্ব দেইনি। পরদিন বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ির অন্য গৃহবধূরাও আলো দেখে আমাদের বললে আমরা ভেবেছিলাম কেউ লেজার লাইট জ্বালাচ্ছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যখন আমরা পুকুরের কিনারে দেখলাম তখন বিশ্বাস করলাম।
স্থানীয় উৎসুক জনতা মো. সিব্বির বলেন, আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছি। আমার মতো হাজার হাজার লোকজন আসছে। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দেখতে আসা কয়েকজন লোক পুকুরে নামে। তখন তারা হঠাৎ তলিয়ে যাচ্ছিল ওই সময় উপস্থিত জনতা তাদের বাঁশ দিয়ে উদ্ধার করে। তখন ওই বাড়ির লোকজন দেখে অবাক হয়ে বলে গত কয়েক দিন আগে এখানে হাঁটু সমান পানি ছিল। হঠাৎ এত গভীর হলো কেন?
পুকুরে নামা দুজন বলেন সেখানে কোনো একটা ঘরের মতো রয়েছে। ঘরের উপরে মিনারের মতো তারা অনুমান করেছেন। অনেক গভীর কোনো সুড়ঙ্গের মতো মনে হচ্ছে।
এওয়াজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম খোকন বলেন, খবর পেয়ে গিয়ে রহস্যময় আলো দেখতে পাই। রহস্যময় এ বিষয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ওই বাড়ির লোকজন।
ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠিয়ে খোঁজ-খবর নেই। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি জানতে পারি একটি রহস্যময় আলো জ্বলছে। ঘটনা ঠিক আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।
বিবার্তা/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]