শিরোনাম
কুড়িগ্রামে গলদা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা
প্রকাশ : ২০ মে ২০১৯, ১৭:১৬
কুড়িগ্রামে গলদা চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা
সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামে গলদা চিংড়ি চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে কুড়িগ্রামের মৎস্য চাষিরা। লাভজনক হওয়ায় ফসল উৎপাদন না করে চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। অর্ধ শতাধিক মৎস্য চাষি পোনা ক্রয় করে চিংড়ি চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে হয়েছেন স্বাবলম্বী।


২০১৭ সালে কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সাধু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নিজস্ব খামারে গলদা চিংড়ির রেনু ও পোনা উৎপাদন করে সফলতা পাওয়ায় গত বছরের পর এ বছরও গলদা চিংড়ির পিএল (রেনু) উৎপাদন করে চাষিদের মধ্যে বিক্রি শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বছর সরকারের দেয়া লক্ষ্যমাত্রার অধিক অর্জিত হয়েছে রেনু ও পোনা। এ বছর (২৮-৩৫দিন বয়সী) পিএল (রেনু) উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় তিন লাখ এবং (৪০-৫০দিন বয়সী) জুভেনাইল (পোনা) উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৬ হাজার।


আগামী দুই বছরের মধ্যে কুড়িগ্রামে চিংড়ি বিপ্লব ঘটাবে মন্তব্য করে কুড়িগ্রাম মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক ও মৎস্য গবেষক মো. মূসা কালিমুল্লা জানান, বিঘা প্রতি ৭ মনের অধিক গলদা চিংড়ি উৎপাদন সম্ভব। যার প্রতি কেজি গলদা চিংড়ির দাম সর্বনিম্ন ৮’শ টাকা। অথচ ১ বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন হবে ২০ মন। যার সর্বোচ্চ মূল্য হবে ১২ হাজার টাকা। কৃষকরা বুঝতে পেরে এখন গলদা চিংড়ি চাষে ঝুঁকে পড়েছে।


উলিপুরের কয়েকজন চিংড়ি চাষি জানান, গত বছর চিংড়ি চাষ করে অকল্পনীয় সফলতা পেয়েছি। খামার কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক পরামর্শ দেয় তাহলে আমি আশাবাদী চিংড়ি চাষ আমার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিবে।


কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, কুড়িগ্রামের পানি, মাটি ও আবহাওয়া চিংড়ি উৎপাদনের জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। আমরা সাধু পানিতে গলদা চিংড়ি চাষে সফলতা পেতে শুরু করেছি। কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আশা করছি আগামী বছরগুলোতে এ জেলায় ব্যাপক হারে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু হবে।


বিবার্তা/সৌরভ/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com