ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি তার সহপাঠী মো. শামীমকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোনাগাজীর চরচান্দিয়া গ্রাম থেকে শামীমকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেনী পিবিআইর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান গ্রেফতারের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে নিশ্চিত করেছেন।
পিবিআই কর্মকর্তা বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে শামীমকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী শামীম।
শামীমসহ এ পর্যন্ত নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বাকিরা হলেন এজাহারভুক্ত আসামি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা, মাদ্রাসার ছাত্র নূর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম, পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, জোবায়ের আহম্মেদ, জাবেদ হোসেন এবং আফসার উদ্দিন। এছাড়া কেফায়েত উল্লাহ জনি, সাইদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, উম্মে সুলতানা পপি, নূর হোসেন ও আলাউদ্দিনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল।
গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। গুরুতর দগ্ধ নুসরাত ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান। তার এই মৃত্যু দেশবাসীকে নাড়িয়ে দেয়।
বিবার্তা/আব্দুল্লাহ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]