দোল পূর্ণিমা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়িতে তিনদিনের লালন স্মরণোৎসব শেষ হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া।
স্মরণোৎসব সমাপনী অনুষ্ঠানে লালন একাডেমির মুল মঞ্চে রাতের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলার জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, ঝিনাদহ জেলা প্রশাসক স্বরজ কুমার নাথ প্রমুখ। প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. সেলিম তোহা।
আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে লালন একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন। এদিকে উৎসব ছেড়ে অধিকাংশ সাধু গুরুরা ফিরে গেছেন তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে।
বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতি বছর চৈত্রের দোলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধু সঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তার মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছেন তার ভক্ত ও অনুসারীরা।
‘মনের গরল যাবে যখন, সুধাময় সব দেখবি তখন’ বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ’র এই বাণীকে প্রতিপাদ্য করে ২০ মার্চ থেকে লালন স্মরণোৎসব শুরু হয়। আখড়াবাড়ি চত্বরে কালীনদীর তীরে ছিল লালন মেলা।
ফকির লালন শাহ্কে স্মরণ ও নিজেকে শুদ্ধ করতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত অনুরাগী আর দর্শনার্থীরা আখড়াবাড়িতে ভিড় করেছিলেন। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বিবার্তা/শরীফুল/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]