কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বরতলী ও টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এ ঘটনা দুটি ঘটে।
পুলিশ জানায়, হোয়াইক্যংয়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুইজন হলো টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার আবদুল জলিলের ছেলে নজির আহমদ (৩৩) ও হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার হাজি জাকরিয়া ছেলে গিয়াস উদ্দিন। নজির । নজির ডাকাত আবদুল হাকিম ডাকাতের ছোট ভাই।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, হোয়াইক্যংয়ের বরতলী এলাকায় ইয়াবা বেচাকেনা হচ্ছে এমন গোপন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
পরে পাচারকারীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ওই দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেল জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কক্সবাজারে রেফার করেন। কক্সবাজার নিয়ে যাওয়ার পথে তারা মারা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র, চার রাউন্ড কার্তুজ, ২৩টি গুলির খোসা ও ছয় হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনা সত্যতা নিশ্চত করে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
অপরদিকে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আছাদুদ জামান চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে টেকনাফের নাজিরপাড়া মগপাড়া এলাকায় ইয়াবা পাচারের খবর পেয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় চোরাকারবারীরা। বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ পিস ইয়াবা ও একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]