শিরোনাম
কারাবন্দী রানা ভিআইপি ক্যাবিনে ভর্তি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৮:৪৩
কারাবন্দী রানা ভিআইপি ক্যাবিনে ভর্তি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইল-৩ ঘাটাইল আসনের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাকে হাসপাতালের ভিআইপি ক্যাবিনে ভর্তি করা হয়েছে। আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। চাঞ্চল্যকর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দুপুরে উচ্চ রক্তচাপ জনিত কারণে রানা অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাদীপক্ষের একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকী থাকায় আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।


টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক নারায়ন চন্দ্র সাহা জানান, দুপুরে সাবেক এমপি রানাকে উচ্চরক্ত চাপ, বুক ব্যথা আর ডায়াবেটিক সমস্যা জনিত কারণে আদালত পুলিশ হাসপাতালে আনেন।


বর্তমানে তিনি হাসপাতালের ভিআইপি ক্যাবিনে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষা শেষে তাকে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার রক্তচাপ উঠা নামা করছে। বুকে ব্যাথা ও ডায়াবেটিক সমস্যাটা এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ সত্ত্বেও যদি উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তবে ঢাকা অথবা অন্যত্র পাঠানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।


জানা যায়, বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রানাকে টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়। পরে ১১টা ২০ মিনিটে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাকসুদা খানম এ চাঞ্চল্যকর মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলার সাক্ষী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাজমুল হুদা নবীন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাজিরা প্রদান করেন এবং সাক্ষ্য শেষ করে। পরে বিচারক আগামী ৪ এপ্রিল এই মামলার অন্যান্য সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। এ নিয়ে আদালতে ১৪জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত হলো।


দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর রানা গত ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিন্ম-আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি তিনি।


উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


বিবার্তা/মোল্লা/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com