শিরোনাম
উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীর তীব্র ভাঙন
প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০১৯, ১৬:৪৬
উল্লাপাড়ায় ফুলজোড় নদীর তীব্র ভাঙন
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শীতের শুরুতেই সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার তিয়োরহাটী গ্রামে ফুলজোড় নদীর পাড় ভাঙ্গতে শুরু করেছে। ভাঙ্গনের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই নিরাপদস্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন ঘরবাড়ি, সহায় সম্বল। ভাঙ্গনরোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয়া হলে নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ জনপদ বিলীন হওয়ার আশঙ্কা তাদের।


উল্লাপাড়া উপজেলার তিয়োরহাটী, আমডাংগা ও নূরনগর গ্রামে শীত মৌসুমের শুরুতেই ফুলজোড় পাড়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। আর পানি কমায় একদিক দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সাথে ক্রমেই বাড়ছে নদী ভাঙ্গনের তীব্রতা। প্রতিনিয়ত বিলীন হচ্ছে ফসলী জমি, বসতভিটা ও গাছপালা। এতে ভাঙ্গন আতংকে দিন কাটাছেন দরিদ্র কৃষিজীবি ফুলজোড় পাড়ের মানুষেরা। এরই মধ্যে ওই এলাকার ১০টি বসতভিটা বিলিন হয়েগেছে, শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।


বড়হর ইউনিয়নের তিয়োরহাটী গ্রামের নদী পাড়ের বাসিন্দা মো. হানিফ সরদার, মোছা. হাফিজা বেগম, কালা চাদ সরদারসহ অনেকেই জানান, গত ১৫ দিনে ফুলজোড় নদীর ভাঙনে তাদের গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়ি ফুলজোড় নদীর গর্ভে চলে গেছে।


তারা বলেন, হঠাৎ করে নদী ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় গ্রামের অনেকে তাদের ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ফি’বছর এসব মানুষ নদী ভাঙনের সম্মুখিন হচ্ছে। এতে তারা নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।


উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শামীম রেজা নবী বলেন, ‘শীত মৌসুমের আগেই হঠাৎ করে ফুলজোড় পানি বৃদ্ধির ফলে বড়হর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।’


নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীভাঙন শুরু হলেই ভাঙনরোধের নামে সরকারি অর্থ লুটপাটের তোড়জোড় শুরু হয়, যা শুধুই অপচয় মাত্র।



বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরল ইসলাম নান্নু বলেন, এখনই ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ফুলজোড় পাড়ের দরিদ্র মানুষ বসতবাড়ীসহ ফসলী জমি হারিয়ে আরো নিঃস্ব হয়ে পড়বে। নদীভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকের কাছে আবেদন করা হবে।


বড়রহর ইউনিয়নের তিয়রহাটী গ্রামের ইউপি সদস্য জিয়া রহমান বলেন, ‘ফুলজোড় নদীর অংশের যে সব স্থানে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে সে জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করব।’


বিবার্তা/নাসিম/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com