
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কুকুরের কামড়ে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শৈলকুপা পৌরসভার হাবিবপুর, কবিরপুর, ঝাউদিয়া ও নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের রঘুনন্দনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক না থাকায় আহত ব্যক্তিরা বিপাকে পড়েছেন, বেড়েছে আতঙ্ক।
জানা গেছে, আহতদের মধ্যে ১২ জনকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভ্যাকসিনের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছে ঝাউদিয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন, মারিয়া, সূর্য, গোবিন্দপুর গ্রামের সুমাইয়া, সামিউল, ইসলাম, শান্তিরাম ও কবিরপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলাম, শাহাদত, শাহজাদা, ইবাদত হোসেন ও লামিয়া খাতুনসহ অন্তত ১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকেই গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে হঠাৎ উন্মত্ত একাধিক কুকুর মানুষকে কামড়ে আহত করতে শুরু করে। রাস্তায় চলাফেরা করা শিশু, বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী, কৃষিকাজে ব্যস্ত নারীসহ সাধারণ পথচারীরাও কুকুরটির আক্রমণের শিকার হন। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে অনেকেই শিশু ও বয়স্ক। তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ের গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন না থাকায় আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
কুকুরের কামড়ে আহত গোবন্দিপুর গ্রামের শান্তিরাম মণ্ডল জানান, ‘আমি সকালে বাড়ি থেকে আসার পথে হঠাৎ পেছন থেকে কয়েকটি কুকুর এসে আমাকে কামড়ে গুরুতর আহত করে। আমার চিৎকারে পথচারীরা এসে উদ্ধার করে।’
আহত সামিউল ইসলাম জানান, শৈলকুপা হাসপাতালে কুকুরের কামড়ানোর ভ্যাকসিন না থাকায় আমাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
রঘুনন্দনপুর গ্রামের বাদশা নামের এক বাসিন্দা জানান, হঠাৎ করে কুকুরটা মানুষকে কামড়াতে শুরু করে। এখনো কুকুরগুলো ধরা পড়েনি। আমরা খুবই আতঙ্কে আছি। শিশুদের বাইরে যেতে দিচ্ছি না।
শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাশেদ আল মামুন জানান, হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন না থাকায় কুকুরের কামড়ে আহত রোগীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার জানানো হলেও ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। তবে কুকুড়ের আতঙ্ক বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাকসিনের জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় কুকুরটিকে আটক বা নিধন করার চেষ্টা চলছে।
এবিবার্তা/রায়হান/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]