
রাজবাড়ীর আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিম শেখের বিরুদ্ধে মরদেহ বহনকারী গাড়ি ভাঙ্চুরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাড়কের আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন গাড়িচালক ও নিহতের স্বজনেরা।
বিকালে গ্লাস ভাঙ্গা গাড়ির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন গাড়ির চালক মোহাম্মদ নূর হক।
গাড়ির নূর হক বলেন, বালিয়াকান্দি থানার নলিয়া শ্যামামোহন ইনষ্টিটিউশনের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই পরিবারের এক সদস্য আমাকে ফোন করেন গাড়ি ভাড়ার জন্য। আমি দ্রুত জামালপুর থেকে আমার হাইস গাড়িটি নিয়ে গোসাইগোবিন্দপুর গ্রামে যাই। সেখান থেকে পরিবারের ৪সদস্যসহ অসুস্থ্য শাহজাহান মিয়াকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামিম শেখসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আমার গাড়ি থামার নির্দেশনা দেন। আমি গাড়ি থামিয়ে কাগজপত্র দেখাতে থাকি। গাড়ির ভেতরে থাকা অসুস্থ্য রোগী শাহজাহান শেখের ভাইয়ের স্ত্রী বলেন আমার ভাইয়ের অবস্থা ভালো না। তখন আমি পুলিশকে গাড়ি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করি। তার আমার কাজগপত্র দেখে গাড়ি ছেড়ে দেয়। ততক্ষণে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে দ্রুত গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুপুর ২ টার দিকে মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একই স্থানে আমার গাড়িকে আবার থামার নির্দেশনা দেয় পুলিশ। আমি তখন পুলিশকে বলি আপনারা তখন আটকে রেখেছিলেন গাড়ি। সেই রোগী আর হাসপাতালে নিতে পারিনি। রোগী গাড়ির ভেতরে মারা গেছে। এই কথার জেরে পুলিশ আমার গাড়িতে আঘাত করে। এ সময় আমার গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙ্গে যায়।
গাড়ির ভেতরে থাকা শাহজাহান শেখের ভাইয়ের স্ত্রী বলেন, আমি গাড়ির ভেরতে ছিলাম। ঢাকা যাওয়ার আগে কিছু সময় রোগীবাহী মাইক্রোবাস আটকে রাখে পুলিশ। হাসপাতাল থেকে যখন রোগী মারা যায় ফেরার পথে তখন আমাদের গাড়ি আটকে দেয় পুলিশ। তখন আমাদের ড্রাইভার পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেখেন সেই রোগী মারা গেছে। এই কথা বলার অপরাধে ড্রাইভার নূরকে মারতে যায় পুলিশ। এ সময় সজোরে গাড়ির গ্লাসে আঘাত করলে গাড়ির কাচ ভেঙ্গে যায়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিম শেখ। তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখানোর অনুরোধ করি। সে কাগজপত্র দেখালে গাড়ি ছেড়ে দেই। কোন গাড়ির চালককের সাথে আমাদের এমন ঘটনা ঘটেনি।
মাদারিদপুর রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম খান বলেন, আমি কোন চালকের কাছ থেকে এমন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।
বিবার্তা/মিঠুন/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]