গুরুদাসপুরে বাঙ্গির দামে হতাশা চাষি, উঠছে না খরচ
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৫৬
গুরুদাসপুরে বাঙ্গির দামে হতাশা চাষি, উঠছে না খরচ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রসুনের সাথী ফসল বাঙ্গি চাষ জনপ্রিয় ও লাভজনক হওয়ায় নাটোরের গুরুদাসপুরে চাষিরা ১০ বছর ধরে বাঙ্গি চাষ করে আসছিলেন। কিন্তু এ বছর চাহিদা ও ন্যায্য মূল্য না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন বাঙ্গি চাষিরা। জমি থেকে সংগ্রহ ও পরিবহণ খরচ না ওঠায় মাঠেই পচে নষ্ট হচ্ছে অধিকাংশ বাঙ্গি।


এ অঞ্চলের চাষিরা জানান, বিগত সময়ে চাহিদা ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহ নিয়ে বাঙ্গির আবাদ করে করেছিলেন তারা। কিন্তু হঠাৎ এ বছর ক্রেতা শূন্যতা ও দরপতনে উৎপাদিত বাঙ্গি নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। শ্রমিক মজুরি ও পরিবহণ ব্যয় না ওঠায় রসালো এ সুমিষ্ট ফল সংগ্রহে কৃষকরা আগ্রহ হারাচ্ছেন। ফলে ক্ষেতেই পচে নষ্ট হচ্ছে অধিকাংশ বাঙ্গি। এমন হলে আগামীতে এ অঞ্চলের চাষিরা এ ফসল চাষে আগ্রহ হারাবেন বলে জানান তারা।


উপজেলার পোয়ালশুড়া দড়িপাড়ার কৃষক আব্দুল ওয়াহাব জানান, তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে বাঙ্গির আবাদ করেছেন। সমপরিমাণ জমিতে গেল বছর ৮০ হাজার টাকা বিক্রি হলেও এ বছর বিক্রি করেছেন মাত্র ১৮ হাজার টাকা। বাজারে ক্রেতা না মিলায় অনেক সময় বাঙ্গির স্তূপ ফেলেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।


পোয়ালশুড়ার সানোয়ার হোসেন, নয়াবাজারের আনারুলসহ অন্তত ১০ জন কৃষক জানান, তারা অধিকাংশ বর্গাচাষি। জমির লিজমুল্য, চাষ, বিজ, সার, পানি সেচ, শ্রমিক মজুরি মিলিয়ে প্রতিবিঘা রসুন চাষে খরচ লক্ষাধিক টাকা। রসুনের সাথী ফসল বাঙ্গি চাষে খরচের প্রায় অর্ধেক টাকা উঠে আসতো। কিন্তু এ বছর দাম না থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের কাছে প্রণোদনা ও সুদমুক্ত কৃষি ঋণের দাবী তাদের।


স্থানীয় আড়তদার শাহীন আলী বলেন, প্রতিদিন গুরুদাসপুর থেকে ৮/১০ ট্রাক বাঙ্গি দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি বিক্রি হয়। গেল বছর প্রতিটি বাঙ্গির পাইকারি দাম ছিল ৩২ টাকা। কিন্তু এ বছর চাহিদা না থাকায় সেই বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ টাকায়। ক্রেতা চাহিদা না থাকায় কমদামে কিনেও বিক্রি হচ্ছে না। এতে পচে নষ্ট হচ্ছে বাঙ্গি, পুঁজি হারাচ্ছেন পাইকাররা।


গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশীদ জানান, গুরুদাসপুরের সুমিষ্ট রসালো বাঙ্গির খ্যাতি দেশজুড়ে। এ বছর ৮৫০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া,কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক মাঠ পরিদর্শন ও পরামর্শে চাষি বাঙ্গির ফলন ভালো ফলন পেয়েছেন। এ বছর দামের দরপতন হলেও চাষিদের ক্ষতি হবেনা।


বিবার্তা/জনি/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com