
ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। সাড়ে ২২ একর জমির এই ঈদগাহে ঈদের নামাজ ঈদের দিন সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরই দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো মুসল্লি এখানে ঈদের জামাতে অংশ নিতে আসেন। এ বছরও লক্ষাধিক মুসল্লি একত্রিত হয়ে এই ময়দানে নামাজ আদায় করবেন।
ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন হাফেজ মাওলানা মাহফুজুর রহমান। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জামাতের আয়োজন করতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ঈদগাহ মাঠের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মিনারের সংস্কার, রং করা, ধোয়া-মুছা, মাটি ভরাট, শতাধিক মাইক স্থাপন, ওয়াস টাওয়ার, পুলিশ কন্ট্রোল রুম, ওজুখানা, অস্থায়ী টয়লেটসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া, ১৭টি প্রবেশ গেটসহ একাধিক সহায়ক কাজও শেষ করা হয়েছে।
দিনাজপুর পৌর প্রশাসক বিয়াজুল ইসলাম জানান, মাঠের বিভিন্ন জায়গায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যবেক্ষণের জন্য টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, স্টেশন ক্লাব, সার্কিট হাউজ, শিশু একাডেমি এবং জেলা গণগ্রন্থাগারে যানবাহনের পার্কিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের জন্য ১৭টি তোরণ নির্মিত হচ্ছে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন মারুফ জানান, ঈদের জামাতের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠের চারপাশে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে মুসল্লিদের তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে এবং মাঠে সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৪টি বড় পর্যবেক্ষণ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মিলে ঈদগাহের মিনার সংস্কার এবং মাঠের পরিচর্যা কাজ সম্পন্ন করেছে। রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মুসল্লিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে এই মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে, ২০১৫ সালে মিনারটি নির্মাণ করা হয় মোগল স্থাপত্য শৈলীতে। মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট, ৫২টি গম্বুজ এবং ৩২টি খিলান রয়েছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]