
‘এসে পার কর হে দয়াল আমায় কেশে ধরে, পড়েছি এবার আমি ঘোর সাগরে’ ফকির লালন সাঁইজির ভাবতত্ব বাণী বা কালামকে প্রতিপাদ্য করে ফকির রওশন শাহ্’র ৩৬তম খেলাফত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী ভেড়ামারা দিব্যধামে অনুষ্ঠিত হলো দু’দিনের সাধুসঙ্গ।
লালন সাঁইজির ভাব ও ভক্তি দর্শন, আত্মশুদ্ধি, জ্ঞানযোগ আর গুরুকর্মের মধ্য দিয়ে বুধবার বিকেলে দিব্যধামে এ সাধুসঙ্গের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
সাধুসঙ্গের আয়োজক ফকির রওশন শাহ্’র আমন্ত্রণে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠানে যোগ দেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ও বিশিষ্ট লেখক, চিন্তক ও কলামিষ্ট ফরহাদ মজহার। এছাড়াও দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাধু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরাও যোগ দেন সাধুসঙ্গে।
সন্ধ্যায় মুড়ি-চা সেবার পর রাতে প্রবীণ সাধু ফকির রওশন শাহ্’র লালন সাঁইজির বানী পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গীতসুধা পর্ব এবং তা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। ফকির লালন সাঁইজির গীত জ্ঞান বা বাণী পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত বরেণ্য বাউল-সাধুুগণ।
বিশিষ্ট লেখক, চিন্তক ও কলামিষ্ট ফরহাদ মজহার মতে ‘সাধুসঙ্গ হলো ভাবের জগতে সাধনার জগতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চর্চা ধর্ম।
সামাজিক’ দার্শনিক, রাজনৈতিক এবং ভাবগত কর্তব্য। সঙ্গের
মাধ্যমে আমাদের যিনি গুরু (লবাণ শাহ্) তিনি বর্তমান আছেন আমাদের মাঝে। সাধকরা যাতে সাধনার দ্বারা যেখানে আপনাকে তুলে ধরবে বা গুরু যেখানে যেভাবে মনে করবে যার যে কর্তব্য, তার যে সমাজের ভূমিকা আর এই ভূমিকাটা পালন করার জন্য যে শিক্ষাটুকু দরকার সে শিক্ষাটুকু গুরু আমাদের দিয়ে গেছেন’।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ণ সেবার মধ্য দিয়ে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হয়। তবে দিব্যধামে আসা সাধু ও ভক্তদের অনেকে রয়ে যাবেন আরো কয়েকদিন এখানে। আবার অনেকে সাধুসঙ্গের জ্ঞানযোগ ও আত্মশুদ্ধি নিয়ে ফিরে গেছেন নিজ নিজ ধামে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে গোষ্ঠলীলা, দৈন্যবাণী, বাল্যসেবা ও লালন সাঁইজির বানী পরিবেশন করা হয়।
বিবার্তা/শরীফুল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]