
লক্ষ্মীপুরে এবার গ্রামপর্যায়ে যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের ৩ নেতার বাড়িতে হামলা- অগ্নিসংযোসহ লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় ককটেল ফাঁটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়।
এদিকে ৫ আগস্ট হামলার পর বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আরেকদফা লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নেরসহ ৪ নেতার বাসভবনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুট করা হয়। জেলা শহরের উপকণ্ঠে ওই নেতাদের বাসভবন।
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামে চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ, নুরুল্লাপুর গ্রামে ইউনিয়ন সদর (পূর্ব) যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোরশেদ আলম ও পূর্ব সৈয়দপুর গ্রামে জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবু ছিদ্দিক মুন্নার বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ করে। প্রত্যেক বাড়িতেই দূর্বৃত্তরা মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক আবু ছিদ্দিক মুন্না বলেন, দূর্বৃত্তরা ঘরের তালা ভেঙে ঘরে মালামাল লুট করেছে। পরে আগুন লাগিয়ে দেয় বাড়িতে। পাশের ঘরে আমার স্ত্রীসহ লোকজন ছিল। খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
চরশাহী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রিয়াজ বলেন, আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছু পুড়ে গেছে। কোন জামা কাপড় নেওয়ার সুযোগও ছিলো না। ঘরে আমার বাবাসহ পরিবারের লোকজন ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের লোকজন পরপর হামলাগুলো চালিয়েছে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই ককটেল বোমা হামলা করেছে তারা। অগ্নিসংযোগ করে সব জ্বালিয়ে দিয়েছে। সাধারণ মানুষও আতঙ্কে রয়েছে। বিষয়টি বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জানানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ রেজাউল হকসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত চলছে। ভূক্তভোগী পরিবারগুলোও কাউকে চিনতে পারেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি।
বিবার্তা/সুমন/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]