
কুড়িগ্রামের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশা অব্যাহত থাকায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। একইসঙ্গে সুর্যেরও দেখা নেই। এতে বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলোকে দিনের বেলায় ও হেডলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। খেটে-খাওয়া মানুষরা কাজে যেতে না পায়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। একদিকে হিমেল বাতাসের কারণে শীতে কষ্টে পড়েছে জেলার নদ-নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষ।
জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরে লোক সমাগম কমেছে।
উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ভিক্ষুক চাঁন মিয়া (৬৯) বলেন, শীতের কারণে ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া যায় না। যে দিন বাড়ি থেকে বের হই দেখি রাস্তায় মানুষ নাই। এলাতো বাড়িত গেইলে ভিক্ষা দিবের চায় না। সারাদিন মিলি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পাই। তাই দিয়ে কি সংসার চলে। কোনো রকম খেয়ে না খায়া বাঁচি আছি।
রৌমারী উপজেলার শৈলমারী ইউনিয়নের ভ্যানগাড়িচালক আবুল হোসেন (৬৪) বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া যায় না তবুও গাড়ি নিয়ে বের হইছি এখনো ভাড়া পাইনি। ভাড়া না পেলে স্ত্রী-সন্তানসহ না খেয়ে থাকতে হবে। দেখি আল্লাহ কি করে।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে তাপমাত্রা উঠা নামা করবে।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]