
কুড়িগ্রামের উপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের দাপটে ব্যাহত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘনকুয়াশায় ঢেঁকে গেছে সমগ্র জেলা।
৩ জানুয়ারি, শুক্রবার সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় তীব্র শীত শীত অনুভূত হয়।
তীব্র ঠান্ডায় সবচেয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে অতি দরিদ্র, খেটে খাওয়া বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন লোকজন বাইরে বের হচেছ না। গ্রামাঞ্চলের দরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে।
শৈত্য প্রবাহের কবলে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬ টি নদ-নদীর তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের কয়েক লাখ অতিদরিদ্র মানুষ।
কুড়িগ্রাম জেলা শহরের দিনমজুর শামসুল বলেন, খুবই কনকনে ঠান্ডা। হাত-পা পর্যন্ত বের করা যায় না। কাজ করার উপায় নাই। বউ-বাচ্চা নিয়ে কষ্টে আছি। গরম কাপড়ও পাই নাই।
উলিপুরের বেগমগঞ্জের গাড়ি চালক মনছুর আলী বলেন, দুইদিন ধরে প্রচন্ড শীত পড়েছে। এই শীতে ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা অবশ হয়ে যাচ্ছে। শীত ও ঘন কুয়াশায় গাড়ি চালানো যায় না। ভাড়া মিলছে না ঠিকমতো! কিন্তু উপায় তো নেই!
সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জমিলা বেগম বলেন, 'ঠান্ডায় আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা কাঁপছে। শীতবস্ত্রের অভাবে খড় জ্বালিয়ে ঠান্ডা কমানোর চেষ্টা করছি।’
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কয়েকদিন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করার পর আজ জেলা জুড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। যা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
বিবার্তা/বিপ্লব/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]