
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় নিজের বসত ঘর থেকে জান্নাতুল ফেরদাউস (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার শৈলদাহ গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে এবং উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামভদ্রা গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের মা পারভীন বেগমের অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আড়াই বছর আগে ইসমাইলের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বামীর পরিবারের চাহিদা মতো যৌতুক দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পরে বিভিন্ন সময় স্বামী তাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করত এবং পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করে নিজের বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে তাকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শিপন পাল বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।
নিহতের স্বামী ইসমাইল হোসেন জানান, তার স্ত্রী নিজের বসত ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ভুইঁয়া ফরিদ জানান, এ ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। আর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
বিবার্তা/মশিউর/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]