
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা ঘেঁষে বসত ঘর করার অভিযোগ উঠেছে। তবে অভিযুক্তদের দাবি বিদ্যালয়ের ভবন তাদের নিজস্ব জমির উপর করে রেখেছে।
বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে পাংশা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চর-ঝিকরি পশ্চিম পাড়া এলাকার মো: ওহাব মোল্লা ও ছেলে আব্দুল শুকুর মোল্লা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সেনগ্রামপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য ৩৩ শতক জমি দান করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল হামিদ এর পিতা আজগর আলী মন্ডল। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই চাকরি করছেন মো: আব্দুল হামিদ। বিদ্যালয়ের ডান পাশে অভিযুক্তদের বসত বাড়ি, বাম পাশে প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাইয়ের বসত বাড়ি। ফলে মাঝখানে বিদ্যালয়।
অভিযুক্তদের চাচা মো: ইউসুফ আলী মোল্লা জানান, বিদ্যালয়টি করার সময় আমরা বাঁধা দেইনি। যদিও আমাদের নিজস্ব জমির উপর ভবনের কিছু অংশ রয়েছে। গত কয়েক দিন আগে আমার ভাস্তে বিদ্যালয়ের পাশে বসত ঘর করতে গেলে প্রধান শিক্ষক কিছু না বলে পুলিশ নিয়ে আসে।কিন্তু স্কুলের জমির উপর তো আমরা ঘর করছি না। তিনি শুধু শুধু আমাদের হয়রানি করছে।
তিনি দাবি করেন, ৩৩ শতক জমি দিয়ে চাকরি করে প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের সেই জমি কই? তার ছোট ভাইয়ের বাড়ি পাশেই করেছে। আমাদের যে জমি স্কুলে চলে গেছে তা ফিরে পেতে চাই না। তবে আমার জমি বাদ দিয়ে স্কুলে ৩৩ শতক জমি দেখতে চাই।
প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল হামিদ বলেন, আমি তাদেরকে কিছুটা সরিয়ে ঘর করতে বলছি। তারা আমার কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছা মতো ঘর করছে। আমি বাধ্য হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, স্কুলে জমির পাশে আমার ছোট ভাইয়ের বসত বাড়ি। তবে সেটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির উপর।
বিবার্তা/মিঠুন/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]