
দেশের অন্যতম শীত প্রধান জেলা চুয়াডাঙ্গা। আর শীত মানেই খেজুরের রস, গুড় ও পাটালির সমারোহ। দেশজুড়ে সমাদৃত চুয়াডাঙ্গার খেজুরের গুড় আর পাটালি। তাই চুয়াডাঙ্গায় প্রতি বছর বাড়ছে গুড়ের চাহিদা। সেই সাথে বেড়েছে দামও।
শীতের শুরুতেই জেলার বিভিন্ন বাজারে গুড় বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে। যা গত বছর ছিলো ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে।
জেলার গুড় উৎপাদনকারীদের দাবি, ধীরে ধীরে রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছ প্রস্ততকারক গাছির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে গুড় উৎপাদন খরচও। ফলে গেলো বছরের তুলনায় এবার গুড়ের দাম বেশি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার ২ লাখ ৭১ হাজার ৯৬০টি খেজুর গাছ প্রস্তুত করা হয়েছে। যা থেকে গুড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের গাছি হামিদুল হক বলেন, যত শীত পড়বে তত গুড়ের চাহিদা বাড়বে। এবার চারশ টাকা কেজি দরে গুড় বিক্রি করছি। এছাড়া গ্রাম থেকে সরোজগঞ্জ ও জয়রামপুর হাটে গিয়ে গুড় বিক্রি করি।
এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন ,দেশজুড়ে চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড় ও পাটালির সুনাম রয়েছে। দেশের অন্যতম বড় খেজুর গুড়ের হাট বসে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ বাজারে। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা সেই হাটে আসেন গুড় কিনতে।
তিনি আরও বলেন, কৃষিবিভাগ গাছিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। গাছিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি শুধু ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখা নয়, থেকে অনেকের বাড়তি আয়ের উৎস তৈরি হয়।
উল্লেখ্য, শীত মৌসুমে গ্রাম থেকে শহরের সব ঘরেই পিঠা-পুলির প্রতি চাহিদা বেশি থাকে মানুষের। এজন্য প্রতিটি ঘরে প্রয়োজন হয় খেজুরের গুড় কিংবা পাটালি। শীত শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকে খেজুর গুড়ের চাহিদা।
কার্তিকের শুরু থেকেই রস সংগ্রহের জন্য গাছ প্রস্তুত করে রেখেছেন চাষীরা। এখন চলছে রস সংগ্রহের কাজ। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে গুড় তৈরির কাজও। অগ্রহায়ণের বাতাসে জেলা জুড়ে ছড়িয়েছে নতুন গুড়ের মৌ-মৌ সুবাস।
বিবার্তা/আসিম/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]