
পঞ্চগড়ে ঔষুধ দোকান কর্মচারির বিরুদ্ধে চুরির মামলায় অভিযুক্ত বাদল চন্দ্র রায়কে (৩৬) গ্রেফতার না করায় এবং পাল্টা বাদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানিমূলক ও চাঁদাবাজির মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ঔষুধ ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রসাশক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন ঔষুধ ব্যবসায়ী নেতারা।
২৭ নভেম্বর, বুধবার সকাল ১১ টা থক ১২ টা পর্যন্ত জেলা বিসিডিএস এর ব্যানারে শহরের মেডিসিন রোডের সামনে পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে ঘটাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মাববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাহেরা মেডিসিন মাঠে দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারি হিসেবে কাজ করে আসছেন বাদল চদ্র রায় নাম এক কর্মচারি। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করার সুবাদে মালিকের কাছে তিনি বিশ্বস্ত হয়ে উঠেন। এর সুযোগে বিভিন্ন কৌশলে দোকান থেকে আনুমানিক ২০ হতে ২২ লক্ষ টাকার ঔষুধ অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন বাদল চন্দ্র। গেল আগস্ট মাসে ঔষুধ চুরির সময় তাকে হাতে নাতে ধরে সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ দুই পক্ষকে নিয়ে বসার কথা বলে তাকে ছেড়ে দেন।
বিচার না পাওয়ায় দোকানের মালিক সাজু মিঞা চলতি মাসে পঞ্চগড় সদর থানায় বাদি হয়ে একটি চুরির মামলা দায়ের করেন। আসামী গ্রেফতার হতে না হতেই সরলতার সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত বাদল চন্দ্রের স্ত্রী ইতি রানী দোকান মালিক সবুর আলী সাজুসহ আরও চার জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আমলী আদালত-১, পঞ্চগড় একটি হয়রানী ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত বাদল চন্দ্র রায় পার্শ্ববর্তী দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের পালের কামাত এলাকার শশীনাথ রায়ের পুত্র। মানববন্ধনে শতাধিক ঔষুধ ব্যবসায়ী অংশ নেন।
বিসিডিএস এর সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন জানান, সকাল থেকে আমাদর সকল ঔষুদের দোকান বন্ধ রয়েছে। আমরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জকে অনেকবার আসামী ধরার কথা বলেছি। উনি বিষয়টি দেখছেন বলে কালক্ষেপণ করছেন। এ পর্যন্ত আসামী বাদল চন্দ্র রায়কে তারা গ্রেফতার করতে পারেননি বরং বাদল চন্দ্র রায়ের স্ত্রী আমাদের ওই ব্যবসায়ীসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হয়রানি ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন বিষয়টি দুঃখজনক। এ অবস্থায় দ্রুত আসামি গ্রেফতারসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এর সঠিক বিচারের দাবি করেন তিনি। অন্যথায় তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল ঔষুধের দোকান বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারী দেন।
এদিক শহরের সকল ঔষুধের দোকান বন্ধ রাখায় বিপদে পড়েছেন রোগীর স্বজনেরা। তেঁতুলিয়া উপজেলার ময়নাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা দবিরুল ইসলাম জানান, আমার বৌমা অসুস্থ্য। ডাক্টার দেখিয়েছি। ঔষুধ লিখে দিয়েছেন। এখন ঔষুধ কিনবো কিভাবে? কোনো দোকান খোলা নেই, সব বন্ধ। কি করবো দিশা পাচ্ছিনা।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম মাসুদ পারভেজ জানান, আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যেখানেই থাকুক না কেন অতি দ্রুত তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবো।
বিবার্তা/গোফরান/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]