
"কাঁসা, বেগুন ও গুড় এই তিনে মিলে ইসলামপুর" এই ঐতিহ্যবাহী প্রবাদ খ্যাত জামালপুরের ইসলামপুরে আখ বা আখের রসের পরিবর্তে ইন্ডিয়ান মুড়ির টিনে গুড় আমদানি করে কড়াইয়ে জাল করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়।
এছাড়াও গুড় তৈরিতে মেশানো হয় সুগার মিলের নালী, ময়দা-ইন্ডিয়ান চিনি আর ডাল্ডা। এভাবেই দীর্ঘ দিন ধরে কেউ দলীয় প্রভাব আবার কেউ প্রশাসনে ম্যানেজ করে আখের পরিবর্তে বিশেষ কায়দায় অস্বাস্থ্যকর ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর পৌর শহরের বোয়ালমারী গ্রামের রগোলাপ আমির আলী ওরফে পেজু, শামিম মির্জা ও আনারুল ওরফে আনোয়ার ভেজাল গুড় তৈরি করছেন। প্রশাসনও রহস্যজনক কারণে কোনো প্রকার ব্যবস্থা না নেওয়ায় ভেজাল গুড়ের জমজমাট ব্যবসা চলছে। তৈরি হচ্ছে নতুন গুড় তৈরি কারখানার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পঁচা নালির ট্যাং পড়ে রয়েছে কারখানায়। ভেজাল গুড় তৈরি কারখানা নোংরা পরিবেশ ও খালি গায়ে শ্রমিকরা হাতে মুঠোয় গুড় পাকাচ্ছে। শরীরে ঘাম পড়ছে। মাছিও ভুন ভুন করছে গুড়ে। আখের রসের পরিবর্তে বিশেষ উপায়ে ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছে।
গুড় ব্যবসায়ী গোলাপ জানান,"আমরা ইন্ডিয়ান গুড় এনে জাল করে গুড়ের কেজি মুঠো তৈরি করি। গত তিন মাস আগে উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগের এক অফিসার এসে আমাদের তৈরি গুড় পরীক্ষা করার জন্য নিয়েছে। এখনো লাইসেন্স হয়নি।
আরেক গুড় তৈরি কারখানা মালিক আনারুল জানায়,এই গুড় তৈরির জন্য তাদের লাইসেন্স রয়েছে, ইন্ডিয়ান টিন ভর্তি গুড় এনে প্রক্রিয়া করে একশত টাকা কেজি বিক্রি করলে কেজিতে ১০/২০টাকা লাভ করে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এখানকার ভেজাল উপায়ে তৈরি গুড় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। তাই এই এলাকার কোনটি আখের তৈরি গুড় কোনটি ভেজাল কারখানার ইন্ডিয়ান গুড়, চিনি-ময়দা ও সুগার মিলের পঁচা নালী দিয়ে তৈরি গুড় ভোক্তাদের চেনার উপায় নেই। কি গুড় খাচ্ছে ভোক্তা প্রশাসনের নিকট এই প্রশ্ন সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কমল কুমার পাল জানান, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিবার্তা/ ওসমান/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]