
বান্দরবান জেলায় ইটভাটা স্থানান্তরের সময় চেয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ইট শিল্পের সাথে জড়িত শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ঠিকাদার সহ ভাটা মালিকরা।
৩০ অক্টোবর, বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
বান্দরবান ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুছ জেলা প্রশাসকের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেন। এ সময় ইটভাটা মালিক থোয়াইনু অং মারমা, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, হায়দার আলী, করিমুল মোস্তফা, মোল্লা, মোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেন ইটভাটা সংশ্লিষ্টরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বান্দরবানের ৭ উপজেলায় বিভিন্ন সময় গড়ে উঠে ৭০টি ইটভাটা। যেখানে কাজ করে অর্ধ লক্ষাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙ্গাালী শ্রমিক। পাহাড়ে এখনো ইটের বিকল্প কিছু গড়ে উঠেনি জানিয়ে তারা বলেন, এখানকার তৈরি ইট ছাড়া, সমতল জেলা থেকে ইট নিয়ে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে নতুন ভাবে বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগে উন্নয়ন কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। এসব টেন্ডারের কাজ বাস্তবায়ন ও বেসরকারী বা ব্যক্তিগত কাজের জন্য প্রচুর ইট প্রয়োজন। তাই ইট ভাটা স্থানান্তরের সময় আগামী ১ বছর বর্ধিত করণের দাবি জানান তারা।
উপদেষ্টার মানবিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইটভাটা মালিকরা আরও জানান, গত ৫ আগস্ট এর পূর্বে ইটভাটা মালিকরা ঋণ করে ইট শিল্প শ্রমিকদের কাছে শত কোটি টাকা লগ্নি করেছেন। এই মুহুর্তে ইট ভাটা বন্ধ করা হলে এ বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাবেন না। দেনার দায়ে পালাতে হবে। পাহাড়ি এই অঞ্চলে কোন শিল্প প্রতিষ্ঠান নেই, অভাবে মানুষের মাঝে হাহাকার বিরাজ করছে। শ্রমিকরা ইট শিল্পের কাজে যোগদানের করার জন্য প্রতিদিন ধর্না দিচ্ছে। তাই স্থানান্তর করার সময় বর্ধিত করে অর্ধলক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান চালু রাখার আহ্বান জানান।
বিবার্তা/আরমান/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]