পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম মোহাম্মদপুরবাসীর
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:১১
পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম মোহাম্মদপুরবাসীর
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রোজকার চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং হতাহতের ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরে একদল মানুষ থানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছে। এর মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে থানায় অবস্থানের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।


২৬ অক্টোবর, শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে ৬০ জনের মতো একটি দল থানায় গিয়ে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে পাঁচ দফা দাবি জানান।


পুলিশের কাছে দাবি উত্থাপনকারীদের একজন পারভেজ হাসান সুমন বলেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে গেছে। আমরা এই অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়ে মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে এডিসি ও ওসির কাছে আমাদের দাবির কথা তুলে ধরেছি।


মোহাম্মদপুরের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে করণীয় নির্ধারণ করতে ও বাসিন্দাদের সহায়তা চেয়ে রবিবার স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশ বৈঠক করতে চেয়েছে বলেও জানান তিনি। পারভেজ হাসান বলেন, একটা সময় নির্ধারণ করে পুলিশের সঙ্গে বসব। আর তারা বলেছে তিন দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে।


থানায় উপস্থিত হয়ে পুলিশের কার্যক্রমের বিষয়ে আপত্তি জানায় ছাত্র-জনতা। এসময় তারা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ জিয়াউল হকের সঙ্গে কথা বলেন।


ছাত্র-জনতার পক্ষে তাদের প্রতিনিধিরা এডিসির কাছে মোহাম্মদপুর এলাকার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি ছিনতাই রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।


সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মোহাম্মদপুরবাসীর পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর থানায় শনিবার ৫ দফা দাবি জানানো হয়।


মোহাম্মদপুরবাসীর পক্ষ থেকে থানার কাছে মোট পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়।


এগুলো হল:


# ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মোহাম্মদপুর সংশ্লিষ্ট এলাকায় ছিনতাই ও ডাকাতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।


# মোহাম্মদপুরের সন্ত্রাসপ্রবণ এলাকায় পুলিশের টহল বাড়াতে হবে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।


# গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্তদের ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিশ্চিত করতে হবে।


# কিশোর গ্যাং, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ‘অপতৎপরতা’, চাঁদাবাজি ও সহিংসতা বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে:


এবং


# জনসাধারণের নিরাপত্তা আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা ও তাদের হয়রানি বন্ধ নিশ্চিত করতে হবে।


দুই পক্ষের আলাপচারিতায় পুলিশি ব্যর্থতার বিষয়টি তুলে ধরেন এডিসি জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘আমার থানায় জনবল কম আছে, এটা সবসময় থাকে। এখন হয়ত আরও একটু কম আছে, আমার গাড়ি কম আছে। এগুলো কোনো এক্সকিউজ হতে পারে না। আমি যখন এই পোশাকে (পুলিশের পোশাক) এসেছি, আমার দায়িত্ব হচ্ছে আপনাকে নিরাপত্তা দেওয়া। হ্যাঁ, আমি স্বীকার করতেছি, আমি সেক্ষেত্রে ব্যর্থ।’


এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তেজগাঁও জোনের এই সহকারী পুলিশ কমিশনার। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলেও পুলিশকে তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।


নিয়মতান্ত্রিকভাবে পুলিশ ও ছাত্র-জনতা মিলেমিশে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। এসময় সবকিছু ঠিক করতে পুলিশকে ৭২ ঘণ্টা সময় বেধে দেন ছাত্র-জনতার প্রতিনিধিরা।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com