কসবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড
প্রকাশ : ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:২১
কসবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঢাকায় গ্রেপ্তার, ৫ দিনের রিমান্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাশেদুল কায়সার ভুঁইয়া জীবন কসবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, উপজেলা আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি সাবেক আইন মন্ত্রীর সাবেক এপিএস ছিলেন। একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে জীবনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ২০২২ সালে ঢাকায় বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে মকবুল নামের এক কর্মীকে হত্যার ঘটনায় শনিবার রাতে ঢাকার কাকরাইল থেকে জীবনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


২০ অক্টোবর, রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


জীবনের সঙ্গে সাবেক আইন মন্ত্রীর সম্পর্ক ছিন্ন হয় মূলত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচনের পূর্বে আনিসুল হক মসজিদে দাঁড়িয়ে কথা দিয়েও সেই কথা রাখতে পারেননি।


উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় শেষে দুই প্রার্থীই আপনজন উল্লেখ করে সুষ্ঠু ভোট করার আশ্বাস দেন সে সময়। কিন্তু কসবার বিভিন্ন কেন্দ্রে জাল ভোট ও ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন জীবন। ২০টি কেন্দ্রে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলনও করেন তিনি।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন, আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান। তাই ভোট কারচুপির মাধ্যমে তাকে পাস করানো হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন জীবন।


তবে জীবন এখনো কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আনিসুল হক সভাপতি। ২০২২ সালে হওয়া ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।


এদিকে আইনমন্ত্রীর আরেক ঘনিষ্ঠজন হলেন, কাজল। আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকজিল খলিফা কাজল বর্তমানে অবৈধভাবে স্ত্রীসহ ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
সরকারের পট পরিবর্তনের পর আইনমন্ত্রী ও তার ওই দুই ঘনিষ্ঠজনের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আনিসুল হক আরো আগেই ঢাকাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলহাজতে আছেন। মাসখানেক আগে পালিয়ে ভারত চলে যান তাকজিল খলিফা কাজল।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় ছিল আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা কসবা ও আখাউড়ার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন রাশেদুল কায়সার ভুঁইয়া। এপিএস হওয়ার সুবাদে তিনি ছিলেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। তবে তাতে ভাগ বসান তাকজিল খলিফা কাজল। এক পর্যায়ে কসবার বিষয়গুলো জীবন ও আখাউড়ার বিষয় কাজল দেখভাল করতেন। এ নিয়ে অবশ্য জীবন ও কাজলের মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা দেয়। তৎকালীন মন্ত্রীর সামনেই দুজনের বিভিন্ন সময়ের বিতণ্ডার বিষয়টি যেন ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে।


বিবার্তা/আকঞ্জি/এনএইচ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com