
কক্সবাজারের রামুতে বর্ণিল আয়োজনে উদযাপন হয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। রাতে শুভ সময়ের আশায় আকাশে উড়ানো হয় হাজারও ফানুস।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দিনটি উপলক্ষে রামুর সকল বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ উপসনালয়ে দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। এছাড়া সকালে দেশ ও জাতির সুখ ও মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ নর-নারীরা পঞ্চশীল গ্রহণ করেন।
পরে বুদ্ধের উদ্দেশ্যে ফুল পূজা, বুদ্ধ পূজা, বুদ্ধমুর্তি দান, অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘ দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিণ্ড (আহার) দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। এছাড়া বৌদ্ধ ভিক্ষুদের কাছ থেকে স্বধর্ম শ্রবণ করা হয়।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে প্রবারণা পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাসের পর, এ প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করা হয়। বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সাধনা লাভে এই তিন মাস আত্মশুদ্ধি ও মনের পবিত্রতার জন্য ধ্যান, সাধনা, ভাবনা, নীতি অনুশীলন করেন।
এদিকে, সন্ধ্যায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহার, মৈত্রী বিহারসহ অন্যান্য উপসনালয়ে হাজারো প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়। এসময় রাখাইন ও বৌদ্ধ যুব সমাজের অসংখ্য নারী-পুরুষের সমাগম ঘটে। এছাড়া খিজারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বৌদ্ধ যুব ও ছাত্র-ছাত্রীদের আয়োজনে চুলামনি ধাতু জাদির উদ্দেশ্যে নানা কারুকার্যের ফানুস উড়ানো হয়।
রামু কেন্দ্রীয় কল্প জাহাজ ভাসা ও প্রবারণা উৎসব উদযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিগ্যান বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ এবার অনাড়ম্বরভাবে এ উৎসব উদযাপনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, প্রভাতফেরি, পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ, আলোচনা, বুদ্ধকীর্তন করা হয়। পরে শুভ সময়ের আশার রাতের আকাশে উড়ানো হয় ফানুস। শতবছর ধরে প্রবারণা পূর্ণিমায় রাখাইন ও বড়ুয়া সম্প্রদায় বাঁকখালী নদীতে কল্পজাহাজ ভাসা উৎসব আয়োজন করে আসছে। আজ দিনব্যাপী রয়েছে সেই উৎসব।
প্রবারণার প্রধান আকর্ষণ আকাশে রঙিন ফানুস উড়ানো। রাতের আকাশে একের পর এক দৃষ্টিনন্দন উজ্জ্বল ফানুস দেখতে রামুর মন্দিরে মন্দিরে দর্শনার্থীদেরও ভিড় লেগে যায়। এই উৎসবের পর মাসব্যাপী চলবে কঠিন চীবর দান।
বিবার্তা/ফরহাদ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]