
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় বহির্নোঙরে এলপিজিবাহী একটি লাইটারেজ (ছোট জাহাজ) জাহাজে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। জাহাজটিতে আগুন লাগার পরপরই এর পাশে থাকা মাদার ট্যাংকারে আগুন ধরে যায়। তবে মাদার ট্যাংকারটির আগুন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেভানো সম্ভব হলেও লাইটারেজের আগুন এখনো পুরোপুরি নেভেনি। ঘটনা তদন্তে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১৩ অক্টোবর, রবিবার এ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক।
এদিকে আগুন নেভাতে কাজ করছে চট্টগ্রাম বন্দরের চারটি উদ্ধারকারী জাহাজ, মাদার ভেসেলের (বড় জাহাজ) নিজস্ব টাগবোট এবং নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টিম। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে বন্দরের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান কমডোর এম ফজলার রহমান বলেন, ‘দুটি জাহাজ দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে গঠিত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আমরা ইতোমধ্যে ওইসব জাহাজ থেকে উদ্ধার হওয়া ক্রুদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের বক্তব্য নিয়েছি। সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবো। আরও এ সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গেও কথা বলবো।’
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমায় জ্বালানিবাহী জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের এটি চতুর্থ ঘটনা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন জেটিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে একটি অয়েল ট্যাংকারে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। ওই ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়। এরপর ৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ‘বাংলার সৌরভ’ নামে আরেকটি তেলবাহী জাহাজে আগুন লাগে। দুটি জাহাজই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন।
বিবার্তা/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]